অনেক আগেই ছাদ আলাদা হয়েছে। চলছিল মামলা। অবশেষে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হলো অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও রোশন সিংয়ের। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তাদের বিচ্ছেদের আইনি সিলমোহর দিয়েছেন আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন রোশন সিং নিজেই।
রোশন সিং বলেন, “সবটাই শান্তিপূর্ণভাবে মিটে গেছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে আমরা আইনিভাবে আলাদা। তবে প্রেম ও বিয়ের আগে তারা যেমন অপরিচিত ছিলেন, আইনি বিচ্ছেদের পর তারা তেমনই থাকবেন।”
এর আগেই জানা গিয়েছিল, রোশনের সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলায়, মাসিক ৭ লাখ টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। গত বছর তার সেই আবেদনে স্টে অর্ডার দিয়েছিলেন আদালত। তবে রোশন সিংকে কি আদৌ মাসিক ৭ লাখ টাকা খোরপোশ দিতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে, এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এদিন কিছু জানাননি রোশন।
দীর্ঘদিন ধরেই রোশান-শ্রাবন্তীর আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। অবশেষে তাঁরা গত সেপ্টেম্বরে (২০২৪) পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান। শুধু বাকি ছিল দুইজনের স্বাক্ষরের। তার জন্যই আদালত ৮ এপ্রিল দিনটি ধার্য করেছিল। তবে এতদিন এই বিচ্ছেদ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শ্রাবন্তী ও রোশন দুজনেই।
এদিকে শ্রাবন্তীর থেকে আলাদা হওয়ার পরই বর্তমান প্রেমিকা অনামিকার সঙ্গে ঘর বাঁধতে প্রস্তুত রোশন সিং। পেশায় তিনি একজন জিম প্রশিক্ষক। সেই পেশাগত দিকটা একটু গুছিয়ে নিয়েই ফের নতুন করে জীবন সাজাতে প্রস্তুত তিনি।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে রোশন-শ্রাবন্তীর প্রেমপর্ব শুরু হয়। ‘গুগলি’ ছবির প্রিমিয়ারে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুইজনকে। মাস কয়েকের মধ্যেই পঞ্জাবে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে সারেন তারা। বিয়ের দিন দশেক পর বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সুখের সংসারে ভাঙন ধরে ২০২০-এর পূজার ঠিক আগে। যদিও শুরুতে কেউ কিছু বলেননি। পরে জানা যায়, শ্রাবন্তীর আরবানার ফ্ল্যাট ছেড়েছেন রোশন সিং। তারপরই তাদের আলাদা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর ২০১৬ সালে মডেল কৃষাণ ব্রজকে বিয়ে করেন তিনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালের গোড়ার দিয়েই চূড়ান্ত হয় কৃষাণ-শ্রাবন্তীর ডিভোর্স। কয়েক মাসের মাথাতেই রোশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন এ অভিনেত্রী।