• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০, ১ শা'বান ১৪৪৬

চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত: ফারুকী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৮:৪২ এএম
চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত: ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত হয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’।

‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, অভিনয় শিল্পীসহ চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত সব অংশীজন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও বিশেষ অতিথি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাদের রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততার জন্য আয়োজনে উপস্থিত হতে পারেননি।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জারিন তাসনিম রোজা। এরপর জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিশেষ অতিথি  সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি একজন পরিচালক। বর্তমানে আমি সরকারি একটি দায়িত্বে আছি, দুইদিন পর আবার পূর্বের অবস্থানে চলে যাব। আমাকে যদি প্রশ্ন করেন, নতুন দেশে আমারা যে দায়িত্ব পেয়েছি সেখান থেকে সিনেমার জন্য কাজ করতে পেরেছি কিনা? আমার উত্তর হবে, আমরা পারিনি, যার পেছনে অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হল, প্রতিদিন আমরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন,‘আমি ঘটনাচক্রে উপদেষ্টা হলেও আমি আসলে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সংস্কারে এবং তাকে প্রাধান্য দিতে এখনও ব্যর্থ। যখন আমি শুধু একজন নির্মাতা ছিলাম, তখন আমিও সরকারকে দোষারোপ করতাম; তবে সরকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রিয়েলাইজ করেছি যে প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টা হওয়ার পরও আমার ধারণা নেই যে, আমাদের দেশে কতোজন ক্রু আছে। আমিও বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত। স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিত, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে; যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে। তো, বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসোসিয়শনের কাছে আমার অনুরোধ যে, আপনারা রাস্তায় নামেন, আমাদের ঘেরাও করেন। আন্দোলন করে আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা চলচ্চিত্র সংস্কারে তৎপর হই।’

আপনারা রাস্তায় নামেন, আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা তৎপর হই চলচ্চিত্র সংস্কারে।’

এছাড়াও সম্মেলনে আলোচনা করেন চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য আকরাম খান, জনপ্রিয় গীতিকার ও  নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, অভিনয়শিল্পী ইমতিয়াজ বর্ষণ, জান্নাতুল ফেরদৌসি ঐশী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য মাশরুর আলম প্রমুখ।

Link copied!