• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৭ শা'বান ১৪৪৬

ভারত থেকে আজ আসছে চলচ্চিত্রকার অঞ্জনের মরদেহ, বৃহস্পতিবার দাফন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ভারত থেকে আজ আসছে  চলচ্চিত্রকার অঞ্জনের মরদেহ, বৃহস্পতিবার দাফন
জাহিদুর রহিম অঞ্জন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বেঙ্গালুরুর থেকে আসছে চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ। বুধবার  (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হহচ্ছে তাকে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখানকার একটি হাসপাতালে মারা যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালক।

জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। চলচ্চিত্রকর্মী, নির্মাতা মুহম্মদ কাইউম জানান, বিমানবন্দর থেকে অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হবে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুলে। সেখানে গোসল শেষে অঞ্জনকে নেওয়া হবে তার ধানমন্ডির বাসায়। বুধবার রাতে নির্মাতার মরদেহ রাখা হবে বারডেমের হিমঘরে।

বৃহস্পতিবার সকালে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হবে তার কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েক জায়গায় অঞ্জনের মরদেহ নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন। গত কয়েক মাস ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন নির্মাতা।

সবশেষ তিনি ভর্তি হন বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে। গত সপ্তাহেই তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সে সময় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণী নির্মাতা।

২০১৪ সালে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প ‘রেইনকোট’ অবলম্বনে জাহিদুর রহিম অঞ্জন নির্মাণ করেন ‘মেঘমল্লার’। প্রথম ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এর আগে আন্তন চেকভের গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মর্নিং’ নির্মাণ করেন অঞ্জন। এটি তার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য। কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ছবিটি। ২০০৭ সালে বাঙালি চিন্তাবিদ অতীশ দীপঙ্করের জীবনী নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। সর্বশেষ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে পড়াতেন তিনি। অঞ্জন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

Link copied!