জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর। সত্তরের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন ৯ বার। চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এ খ্যাতিমান নায়ক।চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এ খ্যাতিমান নায়ক।
ঢালিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি এই অভিনেতার বুধবার (৩ এপ্রিল) জন্মদিন। বয়স ৭৪ পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পা রাখলেন তিনি।
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার বাবার নাম কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অন্যতম একজন প্রযোজক ছিলেন। আলমগীরদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
১৯৭৩ সালে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন। এরপর একে একে ‘দস্যুরাণী’, ‘লাভ ইন সিমলা’, ‘মনিহার’, ‘মনের মানুষ’, ‘আগুনের আলো’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বৌমা’, ‘ভাত দে’, ‘গরীবের বউ’, ‘পিতা-মাতা’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘স্ত্রীর মর্যাদা’সহ অসংখ্য আলোচিত ও সুপারহিট সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
১৯৮৬ সালে কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলমগীর। এরপর ১৯৮৭ সালে ‘অপো’, ১৯৮৯ সালে ‘ক্ষতিপূরণ’, ১৯৯০ সালে ‘মরণের পরে’, ১৯৯১ সালে ‘পিতা মাতা সন্তান’, ১৯৯২ সালে ‘অন্ধ বিশ্বাস, ১৯৯৪ সালে ‘দেশ প্রেমিক’সহ মোট ৯ বার এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। চলচ্চিত্রের অস্থিরতা ও বর্তমান সংকট সমাধানে বর্তমানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর।