সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আব্দুস সামাদ খোকন পরিচালিত সিনেমা ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, গাজী আব্দুন নূর প্রমুখ। ছবিটি মুক্তির পরে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দর্শক উপস্থিতি কম দেখা মিলেছে। এ নিয়ে রীতিমতো ট্রোলের মুখে পড়েছেন দীঘি।
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদও প্রচার হয়েছে। যা মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীঘির পাশে দাঁড়িয়ে একটি স্ট্যাটাসে ভাবনা লেখেন, “একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’। কাহিনি ইমদাদুল হক মিলনের, পরিচালক আব্দুস সামাদ খোকন। এটা সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি। একটি অনলাইনে শিরোনাম করেছে এই ছবির নাকি বিদ্যুতের বিলও না উঠায় হল থেকে ছবি নামিয়ে দিয়েছে হলমালিকরা। সেখানে দীঘির ছবি দিয়ে তাকে এমনভাবে বুলিং করা হচ্ছে যেন ছবি না চলার দায় এই অভিনেত্রীর।”
এরপর নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ভাবনা বলেন, “আমি ১৪ ফেব্রুয়ারি পেয়ারার সুবাস দেখতে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে সিমান্ত স্কয়ারে। প্রেক্ষাগৃহে ১০ জন মানুষও ছিল না। দেশান্তর সিনেমার ক্ষেত্রে ও এমনটা হয়েছে। যেদিন গিয়েছিলাম, আমি আর ডিরেক্টর আশুতোষ সুজন ছাড়া কেউ ছিল না।”
ভাবনা বলেন, “অনেক ভালো সিনেমা দেশবিদেশে সুনাম অর্জন করার পরও হলে রিলিজের পর দর্শক গ্রহণ করে না। দর্শকের দায় নেই, যেসব সিনেমা তাদের পছন্দ করতে হবে। আসল কথায় আসি, এই কথাগুলো লিখলাম এই কারণে অনেক বিখ্যাত নির্মাতাদের, বিখ্যাত অভিনেতাদের ছবি ও দর্শক প্রত্যাখান করতে পারেন। তখন তো সেখানে এমন নিউজ হতে দেখি না। দিঘীকে কেন বুলিং করা হচ্ছে? এই দায় দিঘীর একার নয়। যাকে আঘাত দেওয়া সহজ, আমরা তাকেই আঘাত দিতে পছন্দ করে থাকি।”
দীঘিকে উদ্দেশ্য করে ভাবনা বলেন, “প্রিয় দীঘি একদম মন খারাপ করা যাবে না। কাজ দিয়েই আমাদের জবাব দিতে হবে। আর শিল্পীর জীবনে আঘাত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আব্দুস সামাদ খোকন। ছবিতে দীঘি ছাড়াও অভিনয় করেছেন গাজী আব্দুন নূর, সুব্রত বড়ুয়া, মিলি বাশার, সাদিয়া শিমুল প্রমুখ।