শঙ্কা মুক্ত নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা। তিনি এখন কথা বলতে পারছেন বলে জানিয়েছেন নৃত্য পরিচালক হাবিবুর রহমান। তিনি বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আজিজ রেজা ভাইয়ের সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে দুইটি রিং পরানো হয়েছে, এখন আইসসিইউতে আছেন। তিনি কথা বলতে পারছেন।’
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আজিজ রেজা।
আজিজ রেজার জন্ম নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দয়াকান্দা গ্রামে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন সেখানেই। এরপর চলে আসেন ঢাকায়। উত্তর যাত্রাবাড়ীতেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবন। ছোটবেলাতেই নাচে আগ্রহী হন। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় বিটিভির অনুষ্ঠান ‘নৃত্যের তালে তালে’র প্রেমে পড়ে যান।
নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবু ও নায়িকা অঞ্জনা নাচতেন সেখানে। প্রতি শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচারিত হতো। এই শো কোনোভাবেই মিস করতেন না আজিজ। ইচ্ছে হলো নাচ শিখবেন। কিন্তু কোথায় শিখবেন, জানেন না। একদিন বন্ধু আফসার বলল, ‘চল তোকে এক জায়গায় নিয়ে যাই’। নিয়ে গেল গওহর জামিলের বাসায়। তার একাডেমিতে ভর্তি হতে তখন তিন টাকা লাগত। এই টাকাটাও ছিল না আজিজের কাছে। আফসার নিজের পকেট থেকে টাকাটা দিলো।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন সিনেমার এক হাজার ৯৬ গানে কোরিওগ্রাফি করেছেন আজিজ রেজা। পশ্চিমবঙ্গের ছবিতেও করেছেন ৪২টা গান। চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ, ইন্দানী হালদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেখানে প্রথম ছবি ‘মান সম্মান’-এর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। স্বীকৃতিও পেয়েছেন। তার বাসার ড্রয়িংরুমের শোকেসে ১৬৪টা ট্রফি। এর মধ্যে আছে ‘নাচে নাগিন’ ছবির জন্য পাওয়া জাতীয় পুরস্কারও।
গত ৩০ বছরে ঢালিউডে যত নায়ক-নায়িকা এসেছেন তাদের বেশির ভাগই নৃত্যের তালিম নিয়েছেন আজিজ রেজার কাছে। চলচ্চিত্রে এখনো নিয়মিত কাজ করেন। উত্তরা কামারপাড়া চৌরাস্তায় তার নাচের স্কুল। ৮০ জন ছেলেমেয়েকে সেখানে নাচ শেখান। টুকটাক অভিনয়ও করেন। প্রায় ৬০টি টিভি নাটক করেছেন।