বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নির্মিত হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক ‘এফডিসি কমপ্লেক্স’। এই কমপ্লেক্সে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২০ আগস্ট) এফডিসি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “নতুন যে এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে, সেটি অত্যাধুনিক হবে। এখানে ফুল হাইটের তিনটি শুটিং ফ্লর এবং লো হাইটের আরও দুটি শুটিং ফ্লর থাকবে। অর্থাৎ মোট পাঁচটি শুটিং ফ্লর থাকবে। এই নতুন কমপ্লেক্সে দেশি-বিদেশি যারা আসবেন, তাদের থাকার ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে।”
এফডিসি কমপ্লেক্সের মতো এত বড় প্রকল্প আগে গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে একটি বিল্ডিং থেকে শুটিং শেষ করে বের হয়ে যাওয়ার সমস্ত সুবিধা আছে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনেক দিনের দাবি ছিল এটি। সে দাবি পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা গাজীপুরে ১০৫ একর জায়গার ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেটির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানেও শুটিং করা যাবে।”
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “চলচ্চিত্রশিল্প এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সিনেমা এখন অন্যান্য দেশে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। সম্প্রতি একটি সিনেমা ২২টি দেশে মুক্তি পেয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় আমাদের সিনেমার দর্শক অন্য দেশেও তৈরি হচ্ছে। আমাদের সিনেমা যে শুধু বাঙালিরাই দেখছে তা নয়। অনেক সিনেমা আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে। কোলকাতায় আমাদের সিনেমা দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন হয়। গত বছর চলচ্চিত্র উৎসবে আমাদের একটি সিনেমা দেখার জন্য প্রায় এক কিলোমিটার লাইন হয়েছে।”
দেশ গঠনে সিনেমার কথা উল্লেখ হাছান মাহমুদ বলেন, “নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজ সংস্কারে, সমাজকে সঠিক বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশীয় সিনেমা। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যেমন সিনেমাশিল্প ভূমিকা রেখেছে, তেমনি সিনেমাশিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকে মুক্তিযুদ্ধও করেছে। দেশ গঠনে সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”