সদ্যপ্রয়াত চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। যেকোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণার পরই ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০/১৫ মে ২০২৩ তারিখ মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯০ ঢাকা-১৭ আসনটি উক্ত তারিখে শূন্য হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, “সংসদ সচিবালয়ের গেজেট আমরা পেয়েছি এবং এ আসনের উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করতে কমিশন বরাবর ফাইল তোলা হয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। এই আসনে নায়ক ফারুকের প্রয়াণের আগেই সংসদ সদস্য হওয়ার প্রচারণায় নামেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। গুলশান-বনানীর বিভিন্ন দেয়ালে টাঙানো আছে এই অভিনেতার নির্বাচনী প্রচারণাস্বরূপ সমর্থন চাওয়ার পোস্টার।
তবে সেই আশার গুড়ে বালি দিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে ওমর সানী লেখেন, ‘ফারুক ভাই চলে গেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন। তার শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না। গুলশান-বনানী তার যে সংসদ সদস্য পদ খালি হয়েছে, সেই জায়গায় আমাদের ছোট ভাই ফেরদৌসকে ভাবাই যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু ভেবে দেখবেন, ধন্যবাদ।’
এদিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে অনেকে মনে করছেন যদি সত্যিই এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ফেরদৌস ও সিদ্দিকুর রহমানের লড়াই দেখা যাবে।
এর আগে সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।