সপ্তাহজুড়ে ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও শরীফুল রাজের সংসারে ফাটল দেখা দেয়। এরপর সোমবার (৫ জুন) রাতে পরীমনি একটি সংবাদমাধ্যমের লাইভে এসে রাজের সঙ্গে সংসারজীবনের অবসানের ঘোষণা দেন। এ সময় এই নায়িকা জানান, সংসারটা টিকিয়ে রাখার সব চেষ্টাই করেছিলেন তিনি।
পরীমনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল বিয়ের পর নানুভাই বাসায় থাকা নিয়ে রাজ অনেক বেশি ডিস্টার্ব, কারণ আমাদের সেই বাসাটা শিফট করে ছোট বাসায় চলে গেছি। আমার মনে এটা হয়েছে—অনেক সময় মাঝরাতে ও (রাজ) অনেক সাউন্ড দিয়ে গান শুনতে চায়, যেটাতে আমার নানুর সমস্যা হয়। এখানে রাজকেও আমি কিছু বলতে পারি না। কারণ রাজের মুডটা ও রকম থাকে এবং নানুভাইকেও আমি কিছু বলতে পারি না। তখন এই ব্যাপারটাই আমি চাচ্ছিলাম না, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে কিছু কিছু প্রবলেম হয়, আর যেখানে নানুভাই সারা জীবন আমার সঙ্গে থেকে এসেছে, সেখানে নানুভাইকেও আমার বাড়িতে শিফট করে দিয়েছি।” কথার একপর্যায়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, “আমার ফোকাস ছিল আমার ফ্যামিলিটা। দেখেন কোনো কিছু হলে তো পরীকেই এখন দায়ভার নিতে হবে যে, এই মেয়েটা আসলে সংসার করতে পারে না। আরও ১০ জন এলে আমার ওপরেই আঙুলটা তুলবে যে এই মেয়েটারই প্রবলেম। এইটা আমি যেভাবে বুঝি, আপনি যেভাবে বোঝেন, এটা রাজও খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছিল।”
এই অভিনেত্রী বলেন, “এ জন্যই এই ব্লেম গেমটা সারা জীবন আমার নিতে হবে বা এখন আমি নিচ্ছি। যেটার জন্য আমাকে খুব বাজেভাবে পেয়ে বসল, এটা একটা সূত্র হয়ে দাঁড়াল যে কোনো কিছু হলে এটা পরীরই দোষ হবে।”
এদিকে রাজ-পরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ‘দামাল’ ছবি মুক্তির সময় মিমের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক জড়িয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন পরীমনি। মূলত তখন থেকেই রাজ-পরীর সম্পর্কটা স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। বিষয়টি স্বীকার করে পরীমনি বলেন, ‘দামাল’ ছবির মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাসায় থাকত না। সন্তানের প্রতিও তার সে ধরনের দায়িত্ব চোখে পড়েনি।