জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছেন। এর সঙ্গে বেরিয়ে আসে নায়িকার বিয়ে ও সন্তানের খবরও। আর এসব তথ্য প্রকাশ্যে আনেন পপির মা (মরিয়ম বেগম মেরি) ও ভাইবোনেরা। একটি জমিকে কেন্দ্র করেই আড়াল ভাঙেন চিত্রনায়িকার প্রকাশ্যে আসা। কথা বলেন, মা-ভাইবোনের অভিযোগ প্রসঙ্গেও।
শুরুতে পপির মা ও ভাইবোনের অভিযোগ, বাবার (আমির হোসেন) রেখে যাওয়া জমি একাই দখল করতে চান এই চিত্রনায়িকা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন পপি। জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এক ভিডিওবার্তায় পপি জানান, পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন একজন টাকার মেশিন। তার ইনকামেই চলত পুরো পরিবার। যখনই পরিবারে টাকা দেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, তখনই শত্রুতে পরিণত হয়েছেন তারা।
দীর্ঘ ভিডিওবার্তায় নায়িকা বলেন, ‘আমার বাপ-মা আমাকে পড়াশোনা করিয়ে ভালো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা একজন কোরআনে হাফেজ বানাতে পারত। অনেকে ব্যঙ্গ করে করে বলে, “আপনার মা আপনাকে নায়িকা বানিয়েছে।” নায়িকা বানানো কি কৃতিত্বের কাজ? নায়িকা বানালে তো একটা ভালো পরিবারের বিয়েও হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেয়েছি আমার ভাইবোনেরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হউক, একটা ভালো পরিবারে তাদের বিয়ে হউক। আমার সন্তানের জন্য যেভাবে আমি চাইতাম, ওদের জন্যও আমি তাই চেয়েছি। কিন্তু মা হিসেবে আমার মা, আমার জন্য কী চেয়েছেন আর আমার ভাইবোনদের জন্য কী চেয়েছেন? ভালো মা, খারাপ মা পার্থক্য আছে! কেউ দুধ বেচে মদ কিনে আবার কেউ মদ বেচে দুধ কিনে।’
পপির ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই অভিযুক্ত নায়িকাকে দেখছেন ভিন্ন চোখে। পাল্টে গেছে নায়িকার ওপর থাকা ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের রাগটাও। ইতিমধ্যেই নায়িকার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছে সিনেমার মানুষজনও।
এবার একই সুরে কথা বললেন চিত্রনায়িকা শাহনূরও। তার কথায়, ‘আমাদের প্রতিটি নারী শিল্পীরাই পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট করেন। যখন তারা অভিনয় করা শুরু করেন, তখন থেকেই তাদের পরিবারের সবাই কাজকাম বন্ধ করে, ওই নারী অভিনেত্রীর ইনকামের টাকায় তারা আরাম আয়েশ করতে থাকেন। আর বাবা-মাও চিন্তা করেন, আমার মেয়ে তো কোমর দোলাইলেই টাকা ইনকাম করতে পারে। তার বাকি সন্তানরা কি করে খাবে? এজন্য শিল্পীদের টাকাগুলো অন্য সন্তানদের পেছনে খরচ করতে দ্বিধা করেন না। এমনকি আত্মীয় স্বজন যে যেখানে আছে, প্রত্যেকের চাহিদা বেড়ে যায়। এর চিকিৎসার টাকা দিতে হবে, কারো ঘরের টিন কিনে দিতে হবে। কারো টিউবওয়েল কিনে দিতে হবে। টাকা ধার নেবে কিন্তু শোধ করার কোনো চিন্তাও থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী শিল্পীরাও যে মানুষ, তাদেরও সংসার করতে মন চায়। তাদেরও ইচ্ছা করে সারাদিন কষ্টের পর বাসায় আসলে মা-বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিক বা কেউ গালে তুলে খাইয়ে দিক। এটাও অনেকের ভাগ্যে জোটে না। মান-সম্মানের ভয়ে অনেকে মুখ খুলে আবার অনেকে কষ্টগুলো সহ্য করে যায়।’
কতদিন এসব সহ্য করবে নারী শিল্পীরা এমন প্রশ্ন রেখে শাহনূর বলেন, ‘পপি আপু তার পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। কোনো কিছু হলেই শিল্পীদেরকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়, এটা ঠিক না। আমার মনে হয়, আমাদের নারী শিল্পীদের আরও কঠিন হওয়া উচিত এবং পপি আপুকে দেখে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় শিল্পী অনিন্দিতা দাস সুমি কে নিয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য গীতিকার ও সুরকার কাজী ফারুক বাবুল শুরু করতে যাচ্ছেন নতুন কিছু কাজ। সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য মৌলিক কিছু কাজ উপহার দিতে চান তিনি। এবার অনিন্দিতা সুমি একা নন, উনি একাধিক শিল্পীর সাথে যৌথ ভাবে কাজ করবেন। সাথে থাকছেন আরেক সম্ভাবনাময় শিল্পী শাকিল শেখ ।
আমি লিংক টা দিয়েছি, যদিও ওটার ক্যাপশন এ সাজানো ভাবে ইনফরমেশন নেই। আমি ছোট করে ডিটেইল আপনাকে লিখে দিয়েছি। সাথে কিছু ছবি দিচ্ছি। ধন্যবাদ