• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘এরশাদ প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন, তবে খারাপ সম্পর্ক ছিল না’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
‘এরশাদ প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন, তবে খারাপ সম্পর্ক ছিল না’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক করেছিলেন তিনি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই সুপারস্টার। তবে বাংলা চলচ্চিত্র তাকে বেশি দিন পায়নি। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই অনন্তে পাড়ি দেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। প্রিয় নায়কের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী।

মৃত্যুর ২৮ বছর পরেও ভক্তদের কাছে তার মৃত্যু-রহস্যের জট খোলেনি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কয়েকবার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করলেও এখনো আইনি লড়াই চলছে। আজও তার মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলে যাচ্ছেন।

সালমান শাহর মৃত্যুর পর তৈরি হয় নানা বিতর্ক। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন, সেই রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। শুধু সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে নয়, বিতর্ক ছিল চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরীকে নিয়েও। অভিযোগ রয়েছে যে, ছেলের মৃত্যুর পর তাকে বিভিন্নভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, এমনও দেখানো হয়েছে।

সম্প্রতি লন্ডন থেকে গণমাধ্যমে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন নীলা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই হত্যার বিচার করা প্রয়োজন। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানাভাবে অপমান করা হয়েছে আমাকে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে মিলে আমিই নাকি খুন করেছি সালমান শাহকে।’

স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) আমলে অনেক বদনাম রটানো হয়েছিল আমার নামে। এরশাদ সাহেব জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার বাসায় আসেন। কিন্তু আমি শুরুতে ওনাকে আমার বাসায় আসতে দিইনি। পরে উনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, তোমার ছেলে যদি দরজায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকত তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে? আমি তো জেল থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পেলাম। এরপর আমার স্বামী গিয়ে দরজা খুলে দিল। এভাবে আমাদের বাসায় ওনার আসা-যাওয়া শুরু হয়। এরশাদ সাহেব আমাকে তার মায়ের সঙ্গে তুলনা করতেন। আমার আচরণের সঙ্গে নাকি তিনি তার মায়ের মিল খুঁজে পান।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় সব জায়গাতেই সালমান শাহর ভক্ত আছে। ডিজিএফআই, এনএসআইতেও আছে। ডিজিএফআই থেকে আমাদের একটা সময় বলা হলো, যদি এরশাদ সাহেব আপনাদের বাসায় যাতায়াত করে, তাহলে এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের আলাদা একটা নজর থাকবে আপনাদের ওপরে। এতে করে আপনাদের জীবনের ঝুঁকি কমে যাবে। ঠিক এ কারণেই এরশাদ সাহেব প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন। আমার সঙ্গে তার কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। উনি ভীষণ ভালো একজন মানুষ ছিলেন, আমাকে সব সময় তার মায়ের সঙ্গেই তুলনা করতেন তিনি।’ সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি

Link copied!