জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর মারা গেছেন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে সংগীতাঙ্গনে। এদিকে প্রিয় শিল্পীর দাফন নিয়ে পরিবারের মধ্যে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই জটিলতা আজ দাফনের মধ্যোদিয়ে শেষ হতে চলেছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, মৃত্যুর প্রায় চার-পাঁচদিন পর শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গেল তিনদিন ধরে মনি কিশোরের মরদেহ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
দাফন নাকি সৎকার- এ নিয়েই ছিল জটিলতা। মেয়ের দেশে আসা, না আসা নিয়েও কথা উঠছিল। সবমিলিয়ে শিল্পীর দাফন বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে সকল জটিলতার অবসানের পথে। আজ বৃহস্পতিবার মনি কিশোরের দাফন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছেন গীতিকার মিল্টন খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তী চৌধুরী সরকারীভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। গতকাল রাতেই থানা কর্তৃপক্ষের কাছে এটি এসেছে। তবে কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকার কারণে গতকাল আমরা মনি কিশোরের মরদেহ ছাড়পত্র পাইনি। রামপুরা থানার ওসি সাহেব অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করছেন। আজ থানায় শিল্পীর পরিবারের দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। আশা করি, সকল জটিলতা কাটিয়ে আজকের মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করার।’
তিনি আরও বলেন, “থানা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ ছাড়পত্র পেলেই আমরা শিল্পীর জানাজার নির্ধারিত সময় ঠিক করব। সবাইকে তখন বিষয়টি জানানো হবে।”
মনি কিশোরের দাফন কোথায় হবে এ বিষয়ে মিল্টন খন্দকার বলেন, “ইতোপূর্বে মনি কিশোরের লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করার কথা প্রচার হচ্ছিল। এটি আসলে ভুল তথ্য। মনি কিশোরের ভাই এটি ভুল করে বলেছিলেন। এখন পারিবারিকভাবে দাফনের চেষ্টা চলছে। দাফনের জন্য প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের কথা ভাবা হয়েছিল। সেখানে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে বলে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। রামপুরা অথবা বনশ্রীর কোনো একটি গোরস্থানে দাফন করতে চাই।”
মনি কিশোরের পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার। যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি।