বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সবচেয়ে বড় প্ল্যানবাজ বলে দাবী করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগের একটি শোরুম উদ্বোধনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শনিবার (২ মার্চ) শিল্পী সমিতির বনভোজনে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা করা হয়। শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সভাপতির ভূমিকা কী—এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, “উনি একুশে পদক পাওয়া একজন লোক। তিনি আমাদের সবার সিনিয়র। নিপুণ যতোই কান্নাকাটি করুক, এই ঝামেলার পুরো দায়িত্বই ওনার কাঁধে নিতে হবে।”
জায়েদ খান আরও বলেন, “আমি নির্বাচিত হওয়ার পর কাঞ্চন ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম, কাঞ্চন ভাই চলেন আমরা শপথ করি। উনি বললেন দুই-তিনটা দিন একটু অপেক্ষা করো। উনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, এদিক-সেদিক ঘুরে নোংরামিটা করে নির্বাচিত একটা ছেলে বসতে দিলেন না।”
শিল্পী সমিতির চাঁদা নিয়মিত পরিশোধ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে এ নায়ক বলেন, “কাঞ্চন ভাইকে আমি প্রথমবারের চাঁদা দিতে ফোন দিয়েছি, উনি বলেন আমি মাত্র বিদেশ থেকে ফিরেছি, কী জানি রেজুলেশন লেখা বাকি, ২ দিন পরে আমি জানাই চাঁদাটা আমি কবে দেবো। মানে, ওনার মাঝেই প্রি-প্ল্যান ঘুরছে উনি এটা করবেন।”
শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, “৭ এর ‘ক’ ধারায় আছে সংগঠনের পরিপন্থী, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী এবং সংগঠনের বিরোধী কোনো কার্যক্রম করলে তার সদস্যপদ স্থগিত হবে। ওনারা বলছেন, আমি নিপুণকে ইউটিউবে, ফেসবুকে বাজে কথা বলেছি, উনিতো এরচেয়ে বেশি বলেছেন আমাকে। উনি তো ‘কুরকুরানি’ শব্দটাও সাংবাদিকদের বলেছেন। তার বিচার কি হবে? আর ব্যক্তিকে কিছু বলা তো তার সংগঠনকে কিছু বলা না। সংগঠন নিয়ে যদি কথা বলতাম, শিল্পী সমিতি বাটপার, ভুয়া সংগঠন তাহলে বলা যেতো আমি সংগঠনকে ছোট করেছি। এই সংগঠন আমার প্রাণের সংগঠন। এখানে আমি তিনবার নির্বাচিত।”