ডাক্তার সাবরিনা। বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়।
সম্প্রতি নাটকেও অভিনয় করেছেন ডা. সাবরিনা। সম্প্রতি ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এবার রাজনীতিতে নাম লেখালেন সাবরিনা।
জানা গেছে, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সাবরিনাকে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ডা. সাবরিনা বলেন, আমার দাদি খালেদা রব্বানি ১৯৭৮ সাল থেকে চারবার এমপি ছিলেন। আমার চাচা রেজা হোসেন দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির দলীয় এমপি ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। এর আগে আমি সরকারি চাকরি করতাম যে কারণে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না।
এখন আমি কিছু কাজ করছি একটা প্ল্যাটফরম খুঁজছি মানুষের জন্য, কাজ করার জন্য। তাই জিসাসে যুক্ত হয়েছি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবরিনা বলেন, আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, আমার ইমেজ নষ্ট করা হয়েছে। আমার জুনিয়রদের প্রমোশন হয়েছে আমার হয়নি। নিয়মিত প্রমোশন হলে এখন আমি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে থাকার কথা।
মানুষের জন্য কাজ করে নিজেকে প্রস্তুত করে আগামীতে জনপ্রতিনিধি হতে চাই।
তিনি আরো বলেন, অনেকে আমার রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে না জেনে বিরূপ মন্তব্য করছেন, যা কোনোভাবেই ঠিক না। মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই আমার পুরো পরিবার জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ লালন পালন করে এবং আমি নিজেও বিএনপির একজন কর্মী। অন্যের ব্যাপারে মিথ্যা সমলোচনা না করে দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সবাই মিলেমিশে কাজ করাটাই উত্তম।
করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার অভিযোগে বেশ আলোচিত ছিলেন ডা. সাবরিনা। মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণার তালিকায় ছিল সাবরিনা শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর নাম। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিল। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন ডা. সাবরিনা।