ভাষা আন্দোলনের রূপকার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের লড়াই ও সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র “অবিনশ্বর”। ভাষার মাসের শেষ সপ্তাহে এসে আনন্দের এই খবরটি দিলেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজক ফাখরুল আরেফিন খান।
সরকারি অনুদান আর গড়াই ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণের খবর দিয়েই চুপ থাকছেন না নির্মাতা। বরং খুশির খবর দিলেন এভাবে, প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি তিনি সবার জন্য অন্তর্জালে (ইউটিউব) মুক্তি দিচ্ছেন ভাষার মাসের শেষ দিন, ২৯ ফেব্রুয়ারি।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রসঙ্গে খানিকটা খুলেও বললেন ফাখরুল। যে তথ্যগুলো এখনকার বেশিরভাগ বাঙালিই জানেন না। যারা জানেন, তারা সেটি প্রচারের বিষয়ে অনেকটা নীরব! নির্মাতার তথ্য মতে, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত একজন বাঙালি আইনজীবী, সমাজকর্মী ও ভাষা সৈনিক। তিনি দেশ বিভাগের আগে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
তিনি প্রথম ব্যক্তি, যিনি পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনের সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেছিলেন।
সম্ভবত সেই অপরাধে, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে পাক বাহিনী ও তার দোসররা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার ছোট ছেলে দিলীপকুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর ময়নামতি সেনানিবাসে নিয়ে নির্যাতন করে এবং হত্যা করা হয়।
নির্মাতার ভাষায়, “বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান চিরস্মরণীয়। এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাংলা ভাষার এই মহান রূপকারকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং বাংলা ভাষার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও চেতনাকে পৌঁছে দেওয়া।”
অবিনশ্বর প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌম্য সেনগুপ্ত। অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মৌমিতা পাল, জি.জে. মেরি আচার্য, বাংলাদেশের মাজনুন মিজান, জোশ আল জায়েদী, মীর নওফেল আশরাফী জিসান, আতিক রহমান, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।