রাজধানীর নিকেতনে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সম্মানিত সহ-সভাপতি ও নাট্যনির্মাতা মনির হোসেন জীবন স্মরণ করল সংগঠনটি। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অনন্ত হিরা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান সাগরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কনফেডারেশনের সভাপতি সাদেক সিদ্দিকী, কনফেডারেশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ টিভি মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু জাফর অপু, শুটিং ইউনিট মাইক্রোবাস চালক সমিতি সভাপতি ও কনফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, শুটিং লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কনফেডারেশনের সাংগঠনিক সচিব মো. সালাম চৌধুরী, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া লাইটম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কনফেডারেশনের অর্থসচিব ইব্রাহিম শাহরিয়ার, শুটিং হাউজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কনফেডারেশনের উপদেষ্টা আবদুল আলিম, অভিনেত্রী শবনম পারভিন, অভিনয়শিল্পী ডি এ তায়েব, মনির হোসেন জীবনের স্ত্রী মাহমুদা জীবন শিল্পী, বড় মেয়ে মায়মুনা জীবন একান্ত, মেঝো মেয়ে মালিহা জীবন দিগন্ত, ছোট মেয়ে মারজানা জীবন পূর্ণতা, ভাগ্নে কামরুল ইসলাম খোকন, সুমন।
অনন্ত হিরা বলেন, জীবন ভাই ও তার পরিবারের জন্য কি করা যায় এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিষদ আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিবে।
মনির হোসেন জীবনেে বড় মেয়ে মায়মুনা জীবন একান্ত বলেন “টাঙ্গাইল থাকার কারণে আমার বাবার মৃত্যুর সময় আমি পাশে থাকতে পারিনি। বাবা থাকা অবস্থায় বলতে পারিনি তাকে কতটা ভালবাসি। বাবা যে নাই এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।”
মনির হোসেন জীবনের ভাগ্নে সূমন বলেন, “আমাদের পরিবারে মামার ভূমিকা অপরিসীম মামার যে স্বাধীন থিয়েটার সেটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব।”
অভিনেত্রী শবনম পারভিন বলেন, “জীবনের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। আমার প্রযোজনার প্রথম নাটক জীবনের পরিচালনায়। এরপরে তার সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। তার মূল্যায়ন হয়নি সেভাবে “
ডি এ তায়েব বলেন, “জীবন ভাই আমার গুরু। আমার প্রতি উনার ভালবাসা ছিল। আমাদের জীবন ভাইয়ের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, সে দায়িত্ব নিতে হবে। উনি কাজের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন।”
কনফেডারেশনের সভাপতি সাদেক সিদ্দিকী বলেন, “মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে নিতে হবে কিন্তু কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। মনির হোসেন জীবন এমনই একজন মানুষ। সংগঠনের প্লতি অনুরোধ তার পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেবেন।”
নির্মাতা নজরুল কোরেশী বলেন, তার সঙ্গে ১৯৯৪ সালে হুমায়ুন আহমেদের নাটকে সেটে পরিচয়। তার সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় মধুর ছিল।
আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।