বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। জায়েদ খান থেকে শুরু করে নিপুণকে নিয়ে। বাদ নেই ডিপজল কিংবা অঞ্জনার নামও। নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এক সময়ের চিত্রনায়িকা ময়ূরীও। তবে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাকে নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এই প্রথমবার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। তার নির্বাচনে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চলচ্চিত্র অঙ্গণের অনেকেই। কারণ প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর অভিনয়ের সঙ্গে কবে থেকে জড়িত সেই প্রশ্ন সবার।
সম্প্রতি হেলেনার কথাতে আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তিনি বলেছেন, ‘আমার গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি আছে। এ অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এজন্য কলি-নিপুণ পরিষদে যে, অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।’
হেলেনার এই বক্তব্যে ভালোভাবে নেননি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে ‘শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়া হবে’ এমন মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন খল অভিনেতা ডিপজল।
হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চেনেন না দাবি করে ডিপজল বলেছেন, প্রথমত তাকে (হেলেনা জাহাঙ্গীর) আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক।
ডিপজল আরও বলেন, আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম।
হেলেনার সমালোচনায় এই অভিনেতা আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর যে কথা বলেছেন, তা শিল্পীদের জন্য অবমাননাকর। আমি বলছি না, গার্মেন্টসে কাজ করা খারাপ। অবশ্যই সেটা ভালো। তবে যার যেটা পেশা নয়, সে অন্য পেশায় গিয়ে তা করতে পারবে না। হেলেনা জাহাঙ্গীর কি অভিনয় করতে পারবে? পারবে না। আর শিল্পী সমিতি তো আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন নয় যে, সদস্যদের গার্মেন্টসে চাকরি দেবে।
তবে সব জল্পনা কাটিয়ে ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিন হবে। মিশা সওদাগরের আবেদনের প্রেক্ষিতেই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৯ এপ্রিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নানা ঘটনায় বিতর্কের জন্ম দিলেও এর আগে ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে পরে সেটি পরিবর্তন করে ২৭ এপ্রিল করা হয়। তবে আবার সেই আগের তারিখটিই ঘুরেফিরে বহাল রয়েছে।