• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্দা নামল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
পর্দা নামল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শেষে হয়েছে। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী চলে এই উৎসব।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় দেখানো হচ্ছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় গত ১১ আগস্ট।

চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশি শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা হয় নির্মাতা অমিত্রাক্ষর বিশ্বাসের ‍‍‘লালাবাই‍‍’। সিনেমাটির অভিনেতা গালিব বলেন, “পুরস্কার পেয়ে খুবই খুশি লাগছে তবে আমরা পুরস্কারের জন্য সিনেমা বানাই না। আমরা চাই আমাদের সিনেমাটা মানুষ দেখুক।”

বাংলাদেশি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা হয় নির্মাতা মুসতাক মুজাহিদের ‘প্রথাসিদ্ধ’ ও দ্বিতীয় হয় নির্মাতা নভেরা হাসান নিক্কনের ‘আগুয়ান সান বিহাইন্ড দ্য হরাইজন’। এ ছাড়া ক্ষুদে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

এবারের আসরে সাতটি বিভাগে ১২টি পুরস্কার দেওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

আয়োজন ও আয়োজকদের প্রশংসা করে পলক বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে বলেই এতো বাধা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে সফলভাবে আয়োজন করেছে। তাদের মেধার ঘাটতি নেই দরকার শুধু একটি সুযোগের। তার জন্য আমরা কাজ করছি।”

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা শিশুদের আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ৯ হাজার শেখ রাসেল ল্যাব তৈরি করে দিয়েছি। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার তৈরি করব। এসব স্থানে তারা অ্যানিমেশন, ভিএফএক্স, রোবোটিকসসহ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে। তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক মানের হলে দেখানোর জন্য আমরা হাইটেক পার্কে একটি মাল্টিপ্লেক্স করছি।”

এবারের উৎসবে ঢাকার তিনটি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আসরে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে ৬১ চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে পাঁচটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়।

Link copied!