সংস্কৃতি কেবল আনন্দ-বিনোদনের ক্ষেত্র নয়, এটি একটি নান্দনিক উপস্থাপনা, যার মাধ্যমে কোনো জাতির জীবনীশক্তিরও প্রতিফলন ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পকলা একাডেমির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
মহাপরিচালক বলেন, একক জাতি, রাষ্ট্র ও মতাদর্শ ভিত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চাকে একাডেমি সর্বদা “না” বলবে। বরং, বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু ভাবাদর্শ ভিত্তিক সৃষ্টি-সৌন্দর্য-আনন্দের এক সংলাপাত্মক জনগণতান্ত্রিক শিল্প-পরিসর রূপে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও রুপরেখা তুলে ধরেন নবনিযুক্ত মহাপরিচালক। জানান শিল্পকলা নিয়ে তার মহাপরিকল্পনার কথা।
জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার, পরিচালন-নীতি, আইন-প্রবিধানমালা বিষয়ে করণীয় নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তার পর্বে তিনি বলেন, “রাজধানী কেন্দ্রিকতা শুধু নয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোকে সক্রিয় করে কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে অ্যাকাউন্ট অ্যাসিট্যান্টসহ বেশ কিছু পদ সৃজন করা হবে”।
স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যেমে একাডেমি সংক্রান্ত কাঠামো ও অবকাঠামোগত কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি। এ ছাড়া একাডেমিকে গবেষণা ও চর্চায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এগিয়ে নিতে তথ্য ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সব গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মহাপরিচালক। অনুষ্ঠানে একাডেমির কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।