অনুমতি ছাড়াই কালজয়ী গান ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানটির বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অভিযোগে ৯ প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেলসহ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ, অনুপম ও গান বাংলাসহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।
‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানটির গীতিকার-সুরকার মরহুম সৈয়দ আসাদউদ্দৌলা শিরাজীর উত্তরসূরি মঞ্জুর-ই-আশেকের পক্ষে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী রাজিন আহমেদ।
তিনি নোটিশে উল্লেখ করেছেন ‘ডাক দিয়াছে দয়াল আমারে’ ১৯৬৫ সালে প্রকাশ হয়। গানটি কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিবন্ধিত। রেজিস্ট্রেশন নম্বর সিআরএম ২২৫১৯।
আমার ক্লায়েন্ট এই গানটির আইনি অধিকার হরণ করেছেন। কোনো অনুমতি ছাড়াই গানটি রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন হিসেবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। মুঠোফোন ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। এটি একটি স্পষ্ট কপিরাইট আইন ২০০০ লঙ্ঘন করে।
এ জন্য কপিরাইটযুক্ত সামগ্রীর অননুমোদিত ব্যবহার উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়াই মুনাফা বাংলাদেশের আইনে একটি দেওয়ানি অন্যায় এবং ফৌজদারি অপরাধ।
এই নিয়ে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস অ্যাডভোকেসির স্বত্বাধিকারী ও উপদেষ্টা, মো. রিয়াজ সিকদার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিজনেস অ্যাডভোকেসি আইনসেবা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী রাজিন আহমেদ।
‘প্রাণ সজনী’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী এ্যান্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় গানটি। ওই সময় গানটির সুরকার আলম খান এবং এই গানের গীতিকার হিসেবে মনিরুজ্জামান মনিরের নাম লেখা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে গানটির প্রকৃত গীতিকার সম্পর্কে মতামত চেয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির জবাবে তিনি জানান, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানটির গীতিকার হিসেবে তিনি দাবি করেন না।