এই গরমে স্বস্তির কথা বলে অস্বস্তিতে পড়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তিনি গরমে শান্তির পরামর্শ ও গাছ কাটার কুফল বর্ণনা করতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গত এপ্রিলের শুরু থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো কলকাতার মানুষও দাবদাহে হাঁসফাঁস করছেন।
এরই মধ্যে বুধবার (১ মে) স্বস্তিকা মুখার্জি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরো গাছ কাটো/ আরো পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ—’
গাছ কাটার কুফল নিয়ে মন্তব্য করলেও তা পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। স্বস্তিকা ভালো কথা বলেও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন।
প্রিয়দর্শিনী সুপ্রিয়া নামে একজন লেখেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কটা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’ সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন স্বস্তিকা। এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমি এবং আমার বাবা দু’জনে মিলে। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমাদের লাগানো। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকি। ফেসবুকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার ক’টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমায় তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।’
সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।’ এ মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ‘ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।’ অপূর্ব রানা লেখেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’
এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্ট বক্সে। আর কেউ কেউ স্বস্তিকার বাসার ছবি চেয়েছেন, তারা দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। আর এসব বিষয় নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
তরে এরই মাঝে স্বস্তিকা মুখার্জি কে নিয়ে ভারো কতাও বলেছেন- মনে কেন এত হিংসা এত ঈর্ষা?
একজন মানুষকে ট্রোল করে পাশবিক আনন্দ পাওয়া টা মানসিক বিকার। উনি ফ্ল্যাটে থাকেন না এ.সি. তে থাকেন সেটা কি আলোচনার বিষয়?
সব থেকে ইকো ফ্রেন্ডলি দেশগুলো যেমন সুইডেন, ডেনমার্ক,ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডে বিশাল সংখ্যক মানুষ ফ্ল্যাটে থাকেন। অসুবিধা টা ফ্ল্যাটের নয় অসুবিধা টা অবৈধভাবে গাছ কাটা পুকুর বোজানো আর ফ্ল্যাট নির্মাণ নিয়ে। আগের সময়ে যা হয়ে গেছে তা তো বদলানো যাবে না।নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে যদি কাল থেকে সবাই একটু সচেতন হই সেটা বলতে চাওয়া কি দোষ? আমার আপনার কথার থেকে যার কথার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি তিনি তার দায়িত্ব পালন করলে ভুল?একে অন্যকে নীচে না দেখিয়ে কাল সবাই একটা গাছ লাগাই আর বাড়ির সামনে বারান্দায় একটু জল রাখি যাতে পশু পাখি সবাই একটু বাঁচে।