• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সিনেমা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
‘সিনেমা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে’
‍‍`সিনেমায় নারী‍‍` শীর্ষক দশম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সম্মেলনে আলোচকরা। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

২২ জানুয়ারি (সোমবার)  ‍‍`সিনেমায় নারী‍‍` শীর্ষক দশম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় মেহজাদ গালিবের ‘পসিবিলিটি অব ফিমেইল ড্রিভেন কনটেন্ট ইন দ্য ওটিটি প্লাটফর্ম ইন বাংলাদেশ’ প্রবন্ধটি দিয়ে। আলোচক হিসেবে ছিলেন ড. ইপ্সিতা বরাট ও অভিনেত্রী বন্যা মীর্জা। সেশনটি পরিচালনা করেন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আকতার।

দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ‘বিয়ন্ড ভিকটিমাইজেশন: এক্সপ্লোরিং এজেন্সি অ্যান্ড অলটারনেটিভ রেপ্রেজেনটেশন অব ফিমেইল সাবজেক্টিভিটি ইন শ্রীলঙ্কান সিনেমা’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন অনুরাধা কোডাগোডা। আলোচক হিসেবে ছিলেন ফিলিপাইনের অভিনেত্রী-প্রযোজক ড. রেবেকা শাংকুয়ান চুয়ায়ুনসু ও ক্যাটরিনা খ্রামোভা। সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।

তৃতীয় সেশনে ‘বিহাইন্ড দ্য সিনস অব এমপাওয়ারমেন্ট: ফিল্মমেকিং এজ এ টুল টু কমব্যাট জেনিটাল মিউটিলেশন’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন অ্যানজা স্ট্রেলেক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনাট্যকার ও সমালোচক সাদিয়া খালিদ রিতি ও বুলগেরিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা ইয়ানা লেকারসকা। সেশনটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক কিশোয়ার কামাল।

কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পৃথিবীতে সিনেমা একই ভাষার। একই ভাবে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে এই মাধ্যম। আজ নারীদের চলচ্চিত্রের অংশগ্রহণ আমাদের মধ্যে সেই যোগাযোগ তৈরি করছে।”

আয়োজকরা বলছেন, সাংস্কৃতিক শিল্পের একটি প্রধান উপাদান হিসেবে সিনেমা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এটি এমন একটি প্রভাবশালী মাধ্যম যা সামাজিক পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। নারীভিত্তিক চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু আরও আলোচনার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন। নারীভিত্তিক সিনেমার মান ও বিষয়বস্তু উন্নত করা, আগ্রহীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করার ক্ষেত্রে এই কনফারেন্স ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে পারস্পরিক ধারণার বিনিময় এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নারীরা সিনেমা তৈরিতে আরো ব্যাপকভাবে জড়িত হতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা করেন তারা।

দুই দিনের এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে। দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি, শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের ২৫২ টি চলচ্চিত্র। ২০২৪ সালের এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসব চলাকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে আলিয়ঁস ফ্রসেইজ, বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়াম ও স্টার সিনেপ্লেক্সে।

১৯৯২ সাল থেকে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানকে সামনে রেখে, নিয়মিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে।

 

 

Link copied!