বাংলার ঋতু পরিক্রমায় চলে এসেছে হেমন্তকাল। ঘরে ঘরে উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। তাই, অগ্রহায়ণের শুরুতেই কৃষকের চোখে মুখে ফুঠে ওঠে খুশির ঝিলিক। আবহমানকাল ধরে বিশেষ এই সময়টাকে নবান্ন বলে উদযাপন করে আসছে বাঙালিরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ। ‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ স্লোগানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় হয় এই আয়োজন।
নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে এদিন রকমারি আল্পনার সঙ্গে নানা লোকজন অনুষঙ্গে সজ্জিত ছিল মঞ্চ। বর্ণিল পরিবেশনার উপভোগের পাশাপাশি খই-মুড়কি, মোয়া, মুরালি, বাতাসা ও পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় উৎসব উপভোগকারীদের। সন্ধ্যা থেকে রাত বিরাজ হয় ভালোলাগার অনুভবে।
বরেণ্য নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসানের ব্যস্থাপনায় পরিবেশনাটিতে অংশ নেন দীপা খন্দকার, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সেলিনা হক ও তান্না। ফকির লালন সাঁইয়ের বাণীর আশ্রয়ে শ্রোতার হৃদয় রাঙান প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। উদ্বোধনী পর্বে সংগঠনের সভাপতি লায়লা হাসান বলেন, ‘‘নবান্ন এ দেশের সাধারণ মানুষের নিজস্ব উৎসব। তাই দিনটিকে জাতীয়করণ করার দাবি জানান তিনি।’’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবান্নোত্সব উদ্যাপন পর্ষদের সহসভাপতি বুলবুল মহলানবীশ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা। সভাপতিত্ব করেন পর্ষদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পর্ষদের সহসভাপতি মানজার চৌধুরী সুইট।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বকুলতালায় দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল চারটায়। থাকবে একক, দলীয় ও শিশুদের পরিবেশনা।