মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগের ১০৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মিয়া (৬০) বাদি হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল মাজেদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহিদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম, সিঙ্গাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার ও মীর মো. শাহজাহান প্রমুখ।
মামলায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন ইসলামী সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হরতালের সমর্থনে শত শত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিণত হলে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ও বিগত স্বৈরশাসক সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদির ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। গুলিত নিহত অপর তিনজন হলেন গোবিন্দল গ্রামের মওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও শাহ আলম।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন গোবিন্দল গ্রামের মো. সহিদুল ইসলাম। ওই মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক ও মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
পরে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।