বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করে ভারতের এনডিটিভির সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সেই সাক্ষাৎকার শুনে মুগ্ধ হয়ে ফেসবুকে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে কথা বলেছেন নোবেলজয়ী ডক্টর ইউনূস। যেখানে তিনি শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস, উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে ভারত ও মায়ানমার প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।
এনডিটিভি : মানুষ ঢাকাতে নৈরাজ্য করছে?
ডক্টর ইউনূস, বহুদিন পর দেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে। তারা উপভোগ করছে। আমরাও এই স্বাধীনতা উপভোগ করতেছি।
সঞ্চালক: তাই বলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার কারণ কী?
ডক্টর ইউনূস: এর একমাত্র দায় শেখ হাসিনার। সে দুঃশাসনের মাধ্যমে পিতার ইমেজ ধ্বংস করছে। এর ফলে এই ভাঙচুর হচ্ছে।
সঞ্চালক: এই লুটতরাজের কারণ কী? এটা কীভাবে দেখেন?
ডক্টর ইউনূস: বললেন, এটা হাসিনার দুঃশাসনের ধারাবাহিকতা। মানুষ ভোট দিতে পারে নাই বহুবছর। এই ক্ষোভ তাদের মধ্যে থাকাটাই স্বাভাবিক। ডেমোক্রেসি আসলেই এসব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ।
ডক্টর ইউনূস ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার কোন চেষ্টা হলে ভারত, মায়ানমার, সেভেন সিস্টারও অক্ষত থাকবে না।
চমক লেখেন, খেয়াল করেন, সে ভারত আর সেভেন সিস্টার আলাদা আলাদা উচ্চারণ করেছে। হুমকিটা কত ব্যাপক, বুঝতেসেন তো?
এরপর ইউনূসের প্রশংসায় মুগ্ধ অভিনেত্রী লেখেন, সারাজীবন যে কোনো আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সন্ত্রাসী তকমা শুনে এসেছি। আমার ভাইদের লাশ হাসপাতালে রেখে মেট্রোরেল ধরে খুনি স্বৈরাচারীর কান্নার নাটক দেখেছি। বিদেশি সাংবাদিকদের সামনে দেশের মানুষকে সন্ত্রাসী বানানোর কুৎসিত চেষ্টা দেখে দেখে বড় হয়েছি। আমাদের কখনও কেউ ডিফেন্ড করে নাই, ওউন করে নাই, এতো মায়া দিয়ে কথা বলে নাই আমার জন্য। অথচ আজ ডক্টর ইউনূস মানুষকে ছোট করেন নাই। আমাদের রাগটা বুঝেছেন। আমাদের ওউন করেছেন। আমাদের থ্রেটকে মোকাবিলা করেছেন পাল্টা থ্রেট দিয়ে।