কয়েকদিন আগেই গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নীর এক ফেসবুক পোস্টে জানান তার স্বামী কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেম করছেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী। অবশ্য পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মুন্নী। অভিযোগটি উড়িয়ে দিয়ে জানান তার ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল। এদিকে সেই রেশ না কাটতেই সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি কল রেকর্ড। বলা হয়েছে কল রেকর্ডটি মুন্নী ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের মধ্যাকার।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ফোন আলাপে শোনা যায় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সেই ফেসবুক পোস্টসহ নানা বিষয়ে মুন্নীর কথোপকথন। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে মুন্নীকে সেই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে শোনা যায়।
রেকর্ডটিতে মুন্নীকে বলতে শোনা যায়, ‘রাত সাড়ে ৩টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত একটা স্ট্যাটাস আমার ওয়ালে থাকল। আমার আর কিছু হ্যাক হলো না, একটা স্ট্যাটাস হ্যাক হলো? এটা হ্যাকার করছে? কী বলবো বলো অপু, আমি তো তাপসের সংসার করি। যখন তাপসের সঙ্গে পরিবার সবাই মিলে বসি তখন সবার অনুরোধে মেয়েদের পরামর্শে আইডি হ্যাক হওয়ার স্ট্যাটাস দেই।’
ওই অডিও রেকর্ডটিতে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাতে ভিডিওকলে বুবলীকে তাপসের অফিসে দেখি। আমার মাথা তো ঠিক নেই, তাছাড়া বুবলী তাপসের অফিসে এসে বসে থাকেন রাত-বিরাতে। তাই রাগে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম। বুবলীকে আমি জিজ্ঞেস করি, তোমার কি লজ্জা লাগে না। তুমি জানো না আমি আর তাপস ম্যারিড। তুমি এখানে এসে বসে থাক। একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের ক্ষতি করছো, তোমার খারাপ লাগে না। তখন বুবলী একটা হাসি দেয়। ওর হাসি দেখে ফেসবুকে লিখে ফেলেছি। আমাকে এতো মানুষ রেসপেক্ট করে, আমার তিনটা মেয়ে আছে। আমাকে এসব মানায় না। কিন্তু আমি ওর হাসি দেখে ফেসবুকে লিখে ফেলেছি।’
মুন্নীর দাবি, বুবলী এগুলো করছেন শাকিবের প্রতি প্রতিশোধ নিতে। শাকিব যখন অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে তখন থেকে তাপসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে কল রেকর্ডটিতে তিনি দাবি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “এই মেয়েটা (বুবলী) ছেলেদের এতো ম্যানুপুলেট করতে পারে তোমার ধারণা নেই। এই মেয়েটা ডেঞ্জারাস, সে শাকিবকে ধ্বংস করবেই। আজ না হোক ১০ বছর পর হলেও সে এটা করবেই।”
বুবলী তাপসের কথায় উঠে-বসে বলেও জানান তিনি। তাপস যা বলে তাই করে বুবলী। সব পরামর্শ তাপসের কাছ থেকে নেয়। মুন্নীকে গানবাংলার স্টাফরা অনেক কিছু জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই জানে, সিকিউরিটি গার্ডদের জিজ্ঞেস করলে বলে বুবলী গান বাংলায় কখন আসে আর কখন যায়।’
তবে ১৩ মিনিটের ওই ফোনালাপে অপুর কোনো কথা অবশ্য শোনা যায়নি। ঘুরে ফিরে মুন্নীর কথাই এসেছে। বিষিয়টি নিয়ে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই কল রেকর্ডটির সত্যততা নিশ্চিত করা যায়নি।