দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস। বিশ্বে তাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। জনপ্রিয়তায় বিখ্যাত সব ব্যান্ড দলকে টেক্কা দিলেও, দেশের আইনের উর্ধ্বে যাওয়ার সুযোগ নেই কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস-এর। তাই দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিটিএসের সদস্যরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের অবশ্যই দুই বছর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে বিটিএসের ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। গত বছর তাদের জন্য বয়সসীমা ৩০ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিটিএস সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক গায়ক জিন এর বয়স এখন ২৯ বছর। তাই খুব শীঘ্রই সাতজনই একসঙ্গে যোগ দিবেন সেনাবাহিনীতে। বিটিএসের ব্যবস্থাপনা টিম জানিয়েছে, আগামী মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু করবেন জিন। দলের সাত সদস্যের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স ২৪ বছর; তিনিও বাকিদের সাথেই যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
কয়েক মাস আগেই বিটিএস গানের জগত থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন, বিরতি কাটিয়ে আবার ফিরবে বিটিএস। কিন্তু আপাতত তা অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অসংখ্য নাগরিক বিটিএস সদস্যদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেন। দেশটির কয়েকজন আইনপ্রণেতা পরামর্শ দিয়েছেন, বিটিএস যেন পারফর্ম করা বজায় রাখতে পারে, সেজন্য তাদেরকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নিয়ম থেকে রেহাই দেওয়া উচিত। এর আগে অলিম্পিক মেডেলিস্ট, ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীসহ একাধিক হাই-প্রোফাইল ক্রীড়া তারকাকে এই নিয়ম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
বিটিএসের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান তাদের বিবৃতিতে জানায়, "কোম্পানি এবং বিটিএস সদস্যরা, দুই পক্ষই আশা করছে যে ২০২৫ সালের দিকে আবারও একসাথে পারফর্ম করতে পারবে বিটিএস।"
বিটিএসের এই সাময়িক বিরতি ভক্তদের কাঁদাবে। তিন বছরের জন্য বিদায় নিলেও বিটিএস ভক্তদের হৃদয়ে এই ব্যান্ড সবসময় থাকবে।