আবারও ফিরে এসেছে মনস্টার জগতের দুই মেগাস্টার- কং ও গডজিলা। বহুদিন পর কোন ছবিকে ঘিরে উত্তাল বক্স অফিস। দুই দানবের লড়াই দেখতে হলমুখি দর্শকরা। কেবল বাংলাদেশ-ভারত নয়, সারাবিশ্বেই গডজিলা ও কংয়ের সাফল্যের গ্রাফটা একই রকম আকাশছোঁয়া।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) মুক্তি পেয়েছে বছরের অন্যতম প্রত্যাশিত ‘গডজিলা ভার্সেস কং : দ্য নিউ এম্পায়ার।’ প্রত্যাশা অনুযায়ী মুক্তির পর বক্স অফিসেও আধিপত্য বিস্তার করেছে সিনেমাটি। প্রথম দিন উত্তর আমেরিকায় ৩৭ মিলিয়ন আয়ের পর, ওয়ার্নার ব্রাদার্স-এর চলচ্চিত্রটি এখন উদ্বোধনী সপ্তাহে ৭৫ মিলিয়ন আয়ের পথে। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ৪৫ থেকে ৫৫ মিলিয়ন আয়ের সম্ভাবনাকে অতিক্রম করে বেশ বড়সর শুরুই করতে যাচ্ছে সিনেমাটি।
বক্স অফিসে এই ধারা অব্যাহত থাকলে সিনেমাটি মনস্টারভার্সের এখন পর্যন্ত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম উদ্বোধনী আয়ের সিনেমা হবে। সেই সঙ্গে বক্স অফিসের জন্যও একটি সুসংবাদই বটে যা বছরের সবচেয়ে বড় আয় হিসেবে বক্স অফিস কাঁপাবে। উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি এটি বিশ্বব্যাপীও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম সপ্তাহান্তে বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়ন আয় অতিক্রম করবে এটি।
শুক্রবার পর্যন্ত এর প্রথমদিনের বিশ্বব্যাপী আয় ছিল ৪৭.১ মিলিয়ন। এমনকি চীনেও বেশ ভাল ব্যবসা করছে ‘গডজিলা ভার্সেস কং’। চীনে এর উদ্বোধনী দিনের আয় ছিল ১৩.৭ মিলিয়ন। আজকাল, অনেক হলিউড ফিল্ম পুরো সপ্তাহান্তে এই আয় করতে পারছে না চীনে, যেখানে গডজিলা বেশ চমকই দেখিয়েছে।
এই মুহূর্তে আর কোনো বিগ বাজেটের সিনেমার মুক্তির সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী দুই বা তিন সপ্তাহ সিনেমাটি বিশ্ব বক্স অফিসে বেশ বড়সর ব্যবসা করতে যাচ্ছে বলেই অনুমান করছেন চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি বক্স অফিসে হিট হওয়া ‘ডুন ২’ ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৬০০ মিলিয়নের আয় অতিক্রম করেছে। তবে ‘গডজিলা ভার্সেস কং’-এর মুক্তিতে সিনেমাটির আয় কমতে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
এবারের গল্পে দেখা যাবে, দুই প্রাচীন দানব গডজিলা এবং কং আবারও এক মহাকাব্যিক যুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এদিকে মানব জাতি এই দুই দানবের অন্তর্নিহিত উত্স এবং স্কাল দ্বীপের রহস্যের সাথে সংযোগ খুঁজে পায়। অ্যাডাম উইংগার্ড পরিচালিত ‘গডজিলা ভার্সেস কং : দ্য নিউ এম্পায়ার’-এ অভিনয় করেছেন রেবেকা হল, ব্রায়ান টাইরি হেনরি, ডেন স্টিভেনসহ প্রমুখ।