বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্র ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল। টানা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলেও শেষ হয়নি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। তিনি বাংলাদেশের শান্তি কামনা করে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেছেন।
ওই পোস্টে প্রীতি লিখেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা দেখে আমি বিধ্বস্ত ও ভেঙে পড়েছি। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাস্থলে ভাঙচুর করা হচ্ছে।
তিনি আহ্বান জানান, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার এই ধরনের হিংসা বন্ধ করতে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমি বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য প্রার্থনা করছি।’
প্রীতির আগে কঙ্গনা, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেব, সোনু সুদ, রবিনা ট্যান্ডন ও আদিল হুসেনও বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছেন।
রবিনা লিখেছিলেন, ‘নির্যাতিতদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। অবিলম্বে এই হিংসা বন্ধ হোক। বিশ্ব নেতা ও নেটাগরিক এই হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। এটা চুপ করে থাকার সময় নয়।’
অভিনেতা আদিল হুসেন লিখেন, ‘বাংলাদেশের ছবি ও ভিডিওগুলো সত্যিই হৃদয়বিদারক।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, লিখেছিলেন, হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, ‘এই দায় বংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে।
কঙ্গনা রানাওয়াত লিখেছিলেন, কয়েক জনকে দেখলাম চিড়িয়াখানায় ঢুকে পশুদের ধরে ধরে মারছে। এটাকেই কি প্রতিবাদ বলে? যারা পশুদের সঙ্গে এই কাজ করতে পারে, তারা আপনার সঙ্গে কী করবে, ভাবুন।
সূত্র: আনন্দবাজার।