লাক্স সুপারস্টার, মডেল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন ছিল রোবাবার (১০ নভেম্বর)। ওইদিন মিম জানিয়েছিলেন জন্মদিনটি ঘরোয়া পরিবেশেই দিনটি উদযাপন করবেন তিনি। মা, হাজবেন্ড, পরিবারের সদস্য ও কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়া আয়োজনেই কাটাবো।’
তবে দিনটি উপলক্ষে ঘটলো অন্যরকম ঘটনা। বিশেষ দিনেও ভালোবাসার মানুষরা চমকে দিয়েছেন মিমকে। নায়িকা জানালেন, ‘রাত থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১৫টির মত কেক কাটা শেষ। আরও যে কয়টা কাটতে হবে সেটা অজানা। মিম বললেন, জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই একাধিক কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। রাত অব্দি ২৫টির মত কেক কাটলাম।’
তবে মিমের দিনের সর্বশেষ সারপ্রাইজটা দিয়েছে তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান। কারণ রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের অরিক্স, হারল্যান ও লিলি ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিম। তাই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই অভিনেত্রীকে গুলশানের অফিসে এনে বিশাল সাইজের কেক কেটে পুরো অফিসেরকর্মীরা শুভকামনায় ভাসান। এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে যান মিম। খুশিতে ছল ছল করে উঠে নায়িকার আঁখি যুগল।
জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির র গুলশান হেড অফিস নানা রঙে সাজানো হয়। বোর্ড রুমে একাধিক কর্তাব্যক্তির উপস্থিতিতে হয় উদযাপন। মিম বলেন, ‘পরিবারের বাইরে রিমার্ক আমার আরেকটি পরিবার। এই পরিবারটির সঙ্গে আমার বন্ধন দিন দিন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি আজ আমাকে যেভাবে সারপ্রাইজ দিল তাতে আমি আপ্লুত। এইসব ভালোবাসার কাছে চির কৃতজ্ঞ আমি।’
মীম ১৯৯২ সালের আজকের দিনে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার চাকরিসুত্রে মীমের জীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে ভোলা ও কুমিল্লায়। ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে আলোচনায় আসেন মীম। একই বছরে হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচিত্রে অভিষেক হয়।
‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৌসুমীর সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।