ভারতের বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘নকশিকাঁথার জমিন’। টিএম ফিল্মস প্রযোজিত সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আকরাম খান।
২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া চলচ্চিত্রের এ আন্তর্জাতিক উৎসবের এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে ১৪টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ‘নকশীকাঁথার জমিন’ ও ‘ভিরাটাপুরা ভিরাগি’।
এর আগে ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) ভারতের বৃহত্তম চলচ্চিত্র আসর ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (আইএফএফআই) মূল স্থান গোয়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে নকশীকাঁথার জমিন-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে প্রথম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে ‘বিফর, নাও এন্ড দেন’ এবং ‘মাদারলেস’৷ দ্বিতীয় স্থানে আছে চলচ্চিত্র ‘স্যান্ড’ ।
তথ্যটি নিশ্চিত করে নির্মাতা আকরাম খান বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত দেশ বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবির সঙ্গে লড়াই করে এ পুরস্কার অর্জন করায়। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে মুক্তিযুদ্ধের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পেছনে চলচ্চিত্রটির কলাকুশলী অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মসের দারুণ অবদান রয়েছে। আমি আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি দায়বদ্ধতার সাথে কাজ করতে পারবো।”
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে এ সিনেমা নির্মিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির কথা উঠে আসে এই গল্পে। এতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও সেঁওতি। দুই ভাইয়ের চরিত্রে ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রে আছেন শাহনাজ খুশি এবং বৃন্দাবন দাশের দুই ছেলে দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।
চলচ্চিত্রটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছেন ফারজানা মুন্নী ও প্রযোজনা সংস্থা টিএম ফিল্মস। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মস জানায়, চলচ্চিত্রটি কিছু আন্তর্জাতিক উৎসব ঘুরে তবেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।