• ঢাকা
  • সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৫ শা'বান ১৪৪৬
বার্লিনে বায়োস্কোপ ১৩

ভালুকের দল খুঁজে পেল নতুন ঠিকানা


বিধান রিবেরু
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ভালুকের দল খুঁজে পেল নতুন ঠিকানা
বার্লিন থেকে বিধান রিবেরুর জার্নাল

বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসর একেবারে শেষ প্রান্তে। দশম দিনে তাই প্রচুর ব্যস্ততা। দুটো সমাপনী তথা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রথম অনুষ্ঠানটি দুপুরে, উৎসবের ভেন্যু গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে নিয়মিত প্রেস মিট যেখানে হয়, সেখানটাতে। তো আমাদের, মানে জুরিদের সাড়ে এগারোটার ভেতর চলে আসতে বলা হয়েছিল। আমি সোয়া এগারোটা নাগাদ পৌঁছে যাই। ওদের অনুষ্ঠান শুরুর আগে ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলো আমাদের। সেখানে পুরস্কার পেতে যাচ্ছে এমন সিনেমার কলাকুশলীরাও উপস্থিত হয়েছেন। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে সেই ভিআইপি লাউঞ্জে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করছে। ছোটখাটো পার্টিই বলা যায়। এরই ফাঁকে আমাদের ডাকা হলো ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলা ও মঞ্চ প্রস্তুত হওয়ার পর আমাদের ডাক পড়লো। 


ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে সুন্দর একটি প্যাসেজ পেরিয়ে, আমরা যখন মূল হলে ঢুকলাম, দেখি অনেক লোক, বেশিরভাগই প্রেস থেকে এসেছেন। আমাদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস করে রাখা ছিল। বসার পর শুরু হলো স্বাধীন পুরস্কার ঘোষণা। উপস্থাপক বললেন, এটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রাইজ হলেও বার্লিনালে আপনাদের উপর ডিপেন্ডেন্ট। যাই হোক, ফিপ্রেসির পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকে এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইকুমেনিকাল, অডিয়েন্স এওয়ার্ড ইত্যাদি পুরস্কার বিভিন্ন বিভাগের চলচ্চিত্র ও সংশ্লিষ্টদের দেয়া হয়। চলচ্চিত্র সমালোচকদের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন বা ফিপ্রেসি, বার্লিনে এবার চারটি শাখা থেকে চারটি সেরা ছবি বাছাই করেছে। 


বার্লিনালের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ থেকে সেরা ছবি হয়েছে ড্যাগ জোহান হোগার্ড পরিচালিত  ‘ড্রিমস (সেক্স লাভ)’(২০২৪), পরে সন্ধ্যায় স্বর্ণভল্লুকও যায় এই ছবির কাছে। ফিপ্রেসি থেকে এই বিভাগের বিচারক ছিলেন মাজা কোরবেকা, বিয়াঙ্কা জেসমিন রাউশ, আহমেদ শাওকি। পার্সপেক্টিভস বিভাগ থেকে সেরা বলে বিবেচিত হয়েছে উড়স্কা জুকিচের ‘লিটল ট্রাবল গার্লস’। পরিচালক জুকিচ সন্তানসম্ভবা তাই আগেই উৎসব ছেড়েছেন। তবে তাদের পক্ষে ছবিটির প্রযোজক জোজকো রুটার উপস্থিত ছিলেন। এই বিভাগে বিচারক ছিলেন সারা ডা’সেনজো, অলিভিয়া পপ এবং আমি। প্যানোরামা বিভাগ থেকে সেরা হয়েছে ‘আন্ডার দ্য ফ্ল্যাগস, দ্য সান’, ছবিটির পরিচালক হুয়ানজো পেরেরা। এই বিভাগে জুরি ছিলেন সেরিস হাওয়ার্ড, ইভোনেত পিন্টো ও আরিয়াল শোয়েৎজার। সর্বশেষ ফোরাম বিভাগ থেকে সেরা হয়েছে ‘দ্য মেমোরি অব বাটারফ্লাইজ’ ছবিটি, পরিচালক তাতিয়ানা ফুয়েন্তেস সাডৌস্কি। এই বিভাগে বিচারক ছিলেন সোফিয়া আলভারেজ সালাস, টিমি চি-টিং চেন ও ডেভিড কাৎজ।


অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিজয়ী ও বিচারকদের জন্য একটি পার্টির ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়ে মোটামুটি সকলেই হতাশ। সকালে ভিআইপি লাউঞ্জে লোকজন শ্যাম্পেন আর ড্রিংকস খেয়েছে। কিন্তু এখানেও সেসব পানীয়, বাড়তি শুধু ডোনাট আর উপরে চিজ দেয়া ব্রেজেল। অনেকেই বলতে শুরু করলেন, দিস ইজ নট রিয়েল ফুড! আসলে দুপুর পৌনে দুটো বাজে, লোকজনের ক্ষুধা লেগেছে। আবার এখানে ইনফরমাল মিটিংও করতে হচ্ছে। ধরুন জুরিদের সাথে নির্মাতাদের আলাপ হচ্ছে। আমাদের পার্সপেক্টিভস সেকশন থেকে যে ছবিটি শ্রেষ্ঠ হলো, সেই ছবির প্রযোজক জোজকো রুটারের সাথে ভালো করে কথাবার্তা হলো এখানেই। উনি একটু অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন শুধু ফিপ্রেসি পার্সপেক্টিভস সেকশন থেকে পুরস্কার দিল। অন্যরা দিলো না। আমি বললাম, পার্সপেক্টিভস সেকশনটি এবারের নতুন সংযোজন, সে কারণে হয় তো অন্যরা অতোটা আগ্রহ দেখায়নি। রুটার বলল, এটা ঠিক বলেছো। পরে আবারো আমাদের ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিলেন। দেখি মীনাক্ষী এসেছেন। বাংলাদেশের অবস্থা, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কথা জিজ্ঞেস করলেন। তো তার সাথে কথা বলতে বলতেই দেখি তিনটার উপরে বাজে। ছবি আছে যে!
 

কোনো রকমে একটি ওটসের চকোবার কিনে ছুট দিলাম ব্লুম্যাক্স থিয়েটারের দিকে। ওখানে দেখলাম ‘ফুয়েন্ডস’ (২০২৫) চলচ্চিত্রটি, পরিচালনা করেছেন সোফি সমারভিল। ফুয়েন্ডসের বাংলা করলে দাঁড়ায় দোস্ত, ঠিক বন্ধু নয়, বন্ধুর চেয়ে একটু বেশি। এই ছবিটি দুই দোস্তের কথাই বলে। ফোরাম সেকশনে থাকা ছবিটি আমার চমৎকার লেগেছে। পুরো ছবিতে বলতে গেলে মেলবোর্ন জুড়ে দুই বান্ধবী এম আর জেসি ঘোরাঘুরি করেছে আর কথা বলেছে। গোটা একদিনের ঘোরাঘুরি নিয়েই ছবিটা। সিডনি থেকে এম মেলবোর্নে আসে জেসির কাছে। বান্ধবীকে শহর ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে এটাসেটা হাল্কা আলাপ করতে করতে একসময় তারা ভারি আলাপে প্রবেশ করে। এম তার স্বপ্নের চাকরিতে কি করে যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের সাথে মহাবিশ্বের সম্পর্ক এবং একটা পর্যায়ে জীবনের মানে নিয়ে তারা দার্শনিক আলাপ শুরু করে। জেসি সবকিছুকেই প্রশ্ন করতে থাকে, যেমনটা করে থাকেন দার্শনিকরা। এ যেন আমরা প্লেটোর সংলাপ শুনতে থাকি কুড়ির ঘরে থাকা দুই তরুণীর মুখ থেকে। দুনিয়ায় মানুষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে বলতে এম বলে মানুষের অল্প একটু খেপাটে আর সাহসী হতে হয়। এই দুই গুণ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ছবির শেষভাগে দেখা যায় খেপাটে আর সাহসী হিসেবেই নিজেকে প্রমাণ করে এম। সে এক ক্লাউনের কাছ থেকে রঙীন পোশাক পরে নেয়। তারপর লেডিবার্ডের মতো উড়ে বেড়াতে থাকে। মানে বান্ধবীর সাথে পুরো রাত সে পুড়িয়ে দেয় চিন্তার আগুনে। 


কিন্তু আগুন তখন জ্বলছে আমার পেটে। খাবার খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। ছবি শেষ হয়েছে সোয়া পাঁচটায়। ওদিকে মূল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হবে ছয়টায়। দাওয়াতপত্রে আগে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কাজেই আবার চকোলেটবার কিনে নিতে হলো। সাড়ে পাঁচটার ভেতর বার্লিনালে পালাস্তের সামনে যখন এসেছি তখন তারকাদের ভিড়। তারকা এবং আমরা যারা আমন্ত্রিত অতিথি তারা সকলেই রেডকার্পেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। এতদিন দেখেছি, শুধু সিনেমা দেখার টিকিট নিয়ে যারা এসেছিল, তাদের জন্য পাশ দিয়ে আলাদা পথ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সমাপনী অনুষ্ঠানে একটাই পথ লাল গালিচা দিয়ে মোড়ানো। তারকারা দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য অঙ্গভঙ্গি করছে। আমি ধীর পায়ে ওদের পাশ দিয়ে পালাস্তের হলে ঢুকলাম। সিট নাম্বার মিলিয়ে চলে গেলাম তৃতীয় তলায়। বিশাল হল। ব্যাপক আয়োজন। সংক্ষিপ্ত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পেছনে রাখা রূপালি আর স্বর্ণালি ভালুক। তারা অপেক্ষা করছে কার বাড়িতে ঢুকবে সেটার জন্য। লুক্সেমবার্গের বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী ও টিভি উপস্থাপিকা ডেজিরে নোবুশের প্রাণবন্ত উপস্থাপনার ভেতর দিয়ে শুরু হয় ৭৫তম বার্লিনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। 
 

একে একে বিচারকদের ডেকে নিয়ে পুরস্কার ঘোষণা হলো, আর ভালুকেরা হাতে হাতে করে চলে গেল দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত, বিভিন্ন মানুষের ঘরে। কার ঘরে কোনটা গেল সেটা এরই ভেতর খবর মারফত লোকজন জেনে গেছে। মূল যে ভালুকটা, সোনালি ভালুক, সে গেল নরওয়েতে ড্যাগ জোহান হোগার্ডের বাড়ি। উনি জানালেন এই ছবিটি ট্রিলোজির তৃতীয় খণ্ড। হোগার্ডের মাধ্যমেই সোনালি ভালুক প্রথমবারের মতো নরওয়েতে প্রবেশ করল। সতেরো বছর বয়সী জোহান নামের এক কিশোরীকে নিয়ে এই চলচ্চিত্র। উঠতি বয়সে সে যখন নিজের শরীরকে আবিষ্কার করতে থাকে, তখন সে আকৃষ্ট হয় তারই স্কুলের এক শিক্ষিকার প্রতি। জোহান খুব ভালো করেই জানে সামাজিক বিধিনিষেধের কথা। কিন্তু তারপরও সাহস করে সে লিখে ফেলে তার অনুভূতি ও আবেগ। লুকোছাপা ছাড়া। সেখানে যদিও কোথাও কোথাও কল্পনার আশ্রয় নেয় সে, কিন্তু সততার সাথে সে তার ভালোবাসার কথা, ভাষার মাধুর্য্য দিয়ে প্রকাশ করে। লিখে ওঠার পর জোহানই সেটি পড়তে দেয় লেখক নানিকে। নানি আবার পড়তে দেয় জোহানের মাকে।


তিন প্রজন্মের তিন নারী তখন এই পাণ্ডলিপিকে কেন্দ্র করে নিজেদের আবেগ, অনুভূতি ও যৌনতা নিয়ে ভাবতে থাকে। নারীবাদ কিংবা সমকামিতাকে ছাড়িয়ে এই ছবি মানবিক মুহুর্তের কথা বলে। আমার কাছ এই চলচ্চিত্র তিন বয়সে তিন নারীর চোখে একেকজনকে আবিষ্কারের মুহুর্ত। এই মুহুর্ত তাদের ভেতর চিন্তার প্রবাহ তৈরি করে, অনেকটা স্বচ্ছ কাচের কেতলিতে রাখা গরম পানিতে ছড়িয়ে পড়া চায়ের পাতার রঙের মতো। ছবিটির ভেতর একটা উঁচু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার দৃশ্য আছে, রাতের বেলার দৃশ্য। যেখানে জোহানের বৃদ্ধ নানি, উজ্জ্বল আলোতে সজ্জিত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে, আর তার চারপাশে শুভ্র পোশাকে পুরুষেরাও চেষ্টা করছে উপরে উঠতে। রূপকধর্মী দৃশ্য। কিন্তু এত চমৎকার করে ধারণ করা! পুরো ছবিটার যে অভিব্যক্তি আমরা দেখি সেটি চিন্তার শাখাপ্রশাখা ছড়িয়ে দেয় আমাদের ভেতর। নীতিনৈতিকতা কি জিনিস? প্রেম কি তবে বন্দী করে রাখার জিনিস? নাকি শৈল্পিক প্রকাশেই তার সৌন্দর্য্য? প্রেম ও যৌনতার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ-ছোট-বড় নানা ধরনের ছক কেটে রাখা এই সমাজে আবেগকে কি থামিয়ে রাখা যাচ্ছে? 


জোহানের চরিত্রে এলা উবারবি অভিনয় করেননি, যেন এলাই জোহান। এত স্বাভাবিক অভিনয় তাকে দিয়ে করিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব পরিচালককে না দিলে অন্যায় হবে। আর এত জটিল একটা বিষয় তিনি যেভাবে বয়ান করলেন, মনোলগ আর সংলাপের ভেতর দিয়ে, সেটিও নিঃসন্দেহে অপূর্ব। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এই ছবিটি দেখে মনে হয়েছে স্বর্ণভল্লুক ঠিক ঘরেই গেছে। এবার আমাদের অফিশিয়াল গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হলো একটি পার্টিতে। সেখানে গিয়ে দেখি রীতিমতো ডিসকো জকি পার্টি। প্রচুর লিকার আর ঘুরেফিরে সেই ব্রেজেল। সঙ্গে আছে মিষ্টি পপকর্ন। আমি স্রেফ একটা স্পার্কলিং ওয়াটার খেয়ে, মিনিট দশেক থেকে বেরিয়ে গেছি। অবশ্য এর মধ্যে সেখানে মীনাক্ষী আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন ভারত থেকে আসা ‘টাইগার্স পন্ডে’র পরিচালক নাতেশ হেগডের সাথে। ফোরাম সেকশনে দেখানো ছবিটির প্রযোজন অনুরাগ কশ্যপ। তো ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কান ঝালাপালা অবস্থা। বাইরে শান্তি। 


জায়গাটা যেহেতু ফ্রিডরিকস্ট্রস বা ফ্রিডরিশস্ট্রসে, তাই অতোটা চিন্তা করলাম না, কারণ এখানে এর আগে এসেছি ডুসমান বুক শপে। স্টেশন আশপাশেই হবে। গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়ে দেখি দশ মিনিটের মতো হাঁটতে হবে। হাঁটতে হাঁটতে দেখি ঠিক আবার পৌঁছে গেছি ডুসমানের সামনে। কপাল! আর ঠেকায় কে আমাকে। বইয়ের দোকান খোলা, আর আমি ঢুকব না? গিয়ে ঠিকঠিক আবার কাজের জিনিস পেয়ে গেলাম। দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্রের উপর একটি সার্বিক পরিচিতমূলক বই। আরেকটি কোয়েন্টিন টারান্টিনোর উপর এ-টু-জেড, অভিধানের মতো করে সাজানো বই। কেনার পর মনে হলো আমি সারাদিন প্রায় কিছুই খাইনি। এরপর বেরিয়ে আশপাশে খাবারের দোকান খুঁজতে গিয়ে দেখি প্রায় সবই বন্ধ। এগারোটা বেজে গেছে। শুধু দূরে একটা দ্বীপের মতো খাবারের দোকান খোলা। সেখানে মৌমাছির মতো হামলে পড়েছে লোকজন। তো আমিও সামিল হলাম। একটু অপেক্ষা করতে হলো। এরপর কারিব্রুস্ট খেয়ে ফিরলাম বাড়ি। তখন ঘড়িতে পৌনে বারোটা। 


সিন্ডারেলার যেমন রাত বারোটা বাজার পর সকল জাদু শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমিও ভাবছিলাম, উৎসবের জাদুও শেষ হতে চলল। আর একটা দিন বাকি। ২৩ ফেব্রুয়ারি। ওদিন আসলে তেমন কিছু হয় না। স্ক্রিনিং চলে। যারা আগ্রহী তারা ছবি দেখেন। ভাবছিলাম ঢাকা, কান ও টরন্টোর পর বার্লিনের চলচ্চিত্র উৎসব দেখা হলো। পরের শহরটা কোথায়? কোন শহরে আবার চলচ্চিত্র উৎসবের জাদু দেখতে যাব? অভিজ্ঞতার রঙীন আবির মেখে পাঠকদের জানাব? এখনো জানি না। দেখা যাক। আশায় বসতি। 

Link copied!