পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’। ৩ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকের।
‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’-এ সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতেছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। যা ছিল চলচ্চিত্র পরিচালক মুহাম্মদ কাইউমের।
এ উৎসবে ৩৬টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের সমকালীন সিনেমা রয়েছে ২৩টি। এই ২৩ সিনেমার মধ্যে ৩টি ছিল বিশেষ প্রদর্শনী আর বাকি ২০টি মনোনীত হয়েছিল পুরস্কারের জন্য।
ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে সিনেমাগুলো দেখানো হয়েছে। সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদি চলচ্চিত্র ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত—পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে সিনেমাগুলো বাছাই করেছে শিল্পকলার নির্বাচন কমিটি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল ১৫ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’। এই উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে একযোগে সিনেমাগুলো প্রদর্শন করা হয়। সিনেমাপ্রেমীদের কাছ থেকে এবারের চলচ্চিত্র উৎসব বেশ প্রশংসা লাভ করেছে।
সমকালীন দেশীয় অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ২৩টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত করা হয়। সেখান থেকে সাতটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (দুই লাখ টাকা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (এক লাখ ৫০ হাজার টাকা), বিশেষ জুরি (এক লাখ টাকা) এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পককে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।