২০০৬ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন আজমেরি হক বাঁধন ও জাকিয়া বারি মম। প্রায় দেড়যুগ পর আবারও এক ফ্রেমে বন্দি হলেন এই দুই নন্দিত অভিনেত্রী।
জানা গেছে, ‘মাস্টার’ নামে একটি সিনেমায় দেখা যাবে বাঁধন-মমকে। এটি নির্মাণ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। যিনি ইতোমধ্যে ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমাটি বানিয়ে দেশে-বিদেশে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও।
সিনেমাটি নিয়ে দেশের এক গণমাধ্যমে বাঁধন জানান, তিনি ও মম কেউই সিনেমাটির প্রধান চরিত্র নন। প্রধান চরিত্র অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান। তবে তাদের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই কাজটার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দুজনের।
অভিনেত্রী বলেন, আমি এখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একটা চরিত্র করেছি। একটা ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। পরিচালক থেকে পুরো টিম দারুণ। এত গোছানো টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
আপাতত মমর চরিত্র নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে শুটিং শেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিমের দুটি ছবি শেয়ার করে সিনেমার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন নির্মাতা সুমিত।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন— আমার নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মাস্টার’র চিত্রগ্রহণ শেষ হলো গতকাল! মধুপুর এবং ধনবাড়ীর মানুষের নিরলস শ্রম, অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা ছাড়া কোনোভাবেই সিনেমাটি নির্মাণ সম্ভব হতো না।
টানা দেড় মাসের শুটিংকালে নতুন করে ব্যক্তিগতভাবে মধুপুর এবং ধনবাড়ীকে চিনেছি আমি। এখানকার অপরিসীম সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নতুনভাবে উপলব্ধি করেছি এবং প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এই জনপদের নানা দিক ক্যামেরায় ধারণ করতে। সামনে চেষ্টা থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে এই গল্প, চরিত্র, ইমেজগুলোকে পৌঁছে দেওয়ার।
পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, সিনেমাটি নির্মাণে যারা কাজ করেছে ক্যামেরার সামনে কিংবা পেছনে থেকে, তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। সবাই মিলে যেন একসঙ্গে বড় পর্দায় সিনেমাটি উপভোগ করতে পারি সেই কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, নাসির উদ্দিন, বাঁধন, মম ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— শরীফ সিরাজ, তাসনুভা তামান্না, আমিনুর রহমান মুকুল, মাহমুদ আলম, ফজলুর রহমান বাবুসহ অনেকেই।