খুন হয়েছে ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী । আততায়ীদের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুম্বাইয়ের খের নগরে নিজের ছেলের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকীর ওপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতকারী।
এ সময় লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেঠি, জাহির ইকবালসহ অনেক তারকা।
এদিকে বাবা সিদ্দিকীর হত্যার খবর শোনামাত্রই শনিবার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে যান ভাইজান সালমান খান, অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। মুম্বাই পুলিশ দ্রুত এ নেতার হত্যার তদন্তকাজ শুরু করছে। পুলিশ ভাবছে, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়টিও।
বাবা সিদ্দিকী ছিল বলিউড অভিনেতা সালমান খানের খুব ঘনিষ্ঠ। সবসময় ভাইজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেয়ার করে নিতেন তিনি। এর আগে যখন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন সালমান, তখনো পাশে ছিলেন বাবা সিদ্দিকী।
সালমান শনিবার হাজির হয়েছিলেন লীলাবতী হাসপাতালে। চোখমুখ থমথমে ছিল এ অভিনেতার। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ভোরে বান্দ্রায় সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় দুই বন্দুকবাজ। মুম্বাই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে বলা হয়েছে— সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ভিকি গুপ্তা ও সাগর পালের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলেন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
সালমান বিগত সময়ে একাধিকবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগীদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। এবং যেখানে বলা হয়েছে যে, নিহত গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো তারও একই পরিণতি হবে। সালমান যখন থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন, তখন থেকেই অভিনেতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সুরক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকী।
এদিকে পাপারাজ্জিদের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় শিল্পা শেঠি দৃশ্যত চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। গাড়ির মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এ সময় স্বামী রাজ কুন্দ্রাকেও দেখা যায়— এই কঠিন সময়ে স্ত্রীকে সঙ্গ দিতে।
গোটা ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে রীতেশ দেশমুখ বলেন, ‘এই জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’।
বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকী কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার দু`জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃতীয় অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ সূত্রেই আরও জানা গিয়েছে যে, বাবা সিদ্দিকীকে ১৫ দিন আগে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যার পরে তার নিরাপত্তা ওয়াই ক্যাটাগরিতে নিয়ে যাওয়া হয়।