• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুম্বাইতে এ আর রহমানের স্টুডিও দেখে আসিফের আক্ষেপ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
মুম্বাইতে এ আর রহমানের স্টুডিও দেখে আসিফের আক্ষেপ

অস্কার জয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে গান রেকর্ড করেছেন আসিফ। রহমানের ‘কেএম’ স্টুডিওতে গান রেকর্ডের পর ভারত ও বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির পার্থক্য তুলে ধরে তিনি ফেইসবুকে পোস্টে করেন।

সেখানে আসিফ লিখেছেন, “মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রেহমান স্যারের KM  স্টুডিওতে। কমপক্ষে পনেরো হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভিতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কি চমৎকার পরিবেশ!

“যারা উনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন, তাদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। উনার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।“

বাংলাদেশের গান রেকর্ডিংয়ের স্টুডিওগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে আসিফের কথায়।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে বা ছোট খুপরির মত সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা।“

এই শিল্পীর কথা হল, যেখানে ইন্ডাস্ট্রি দিনে দিনে আরো বড় হওয়ার কথা, সেখানে সঙ্কুচিত হয়েছে।

আসিফের মনে হয়েছে, ভারতে শিল্পী-সুরকারদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষা ব্যূহ তৈরি করে রাখা হয়েছে, যার ধারেকাছে নেই বাংলাদেশ।

“রাষ্ট্রীয় কিছু উদ্যোগ থাকলেও চামচিকা আর উলু খেয়ে ফেলে সব। সমিতি আর নির্বাচনী কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি।”

চলতি শতকের শুরুতে দরাজ কণ্ঠের জন্য পরিচিতি পাওয়া এই শিল্পী বলেন, “বয়সও বেড়েছে, হৈ চৈ করতে আর ভালও লাগে না। সৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে। রাষ্ট্র- প্লিজ একটা কিছু করুন। মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচান…ভালবাসা অবিরাম…।“

প্রায় দুই যুগের পেশাদার সংগীতজীবন গায়ক আসিফ আকবরের। তার সংগীত ক্যারিয়ারেরর আনুষ্ঠানিক সূচনা ২০০১ সালের শুরুতে। প্রথম অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, সে সময়ের অত্যন্ত ব্যবসা সফল একটি অ্যালবাম।

এক সময় ক্যাসেট-সিডির যুগে রাজত্ব করেছেন কুমিল্লার এই শিল্পী। প্রযুক্তির পরিবর্তনে পরিবর্তিত সময়েও তিনি বসে নেই। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আসিফ প্রায়ই গান প্রকাশ করেন। তাকে পাওয়া যায় কনসার্টেও। এছাড়া সোশাল মিডিয়ায় রয়েছে আসিফের সরব উপস্থিতি।

বলিউডের আলোচিত সংগীতশিল্পী অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন আসিফ। এছড়া এর আগে কবীর সুমন, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি এবং শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গেও গান করেছেন।
 

Link copied!