জায়েদের নামে মামলা নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ নজরুল

হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ মাথায় নিয়ে এই মূহুর্তে কানাডায় রয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কোটা সংস্কার আন্দোলেনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কানাডায় অবস্থান করছিলেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনও দেশে ফেরেননি তিনি।

এদিকে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকজন তারকার নামে মামলা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন জায়েদ খানও। ৯ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুলের কাছে  জানতে চাওয়া হয় আগের আমলের মতো এবারও অদ্ভুত সব গায়েবি মামলা হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘সবার নাম নিয়ে তো বলা সম্ভব নয়, তবে এখন দুজনের নাম মনে আছে, সাকিব আল হাসান ও জায়েদ খান।’

কবে দেশে ফিরবেন জানালেন জায়েদ খান

বিস্তারিত পড়ুন

ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, “এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, মামলা করা সবার নাগরিক অধিকার। সবই (মামলা) কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে হয়েছে। এসব পুলিশ করলে তবে তা রাষ্ট্রীয় হতো। ওনাদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে? গ্রেপ্তার হয়নি। এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার নয়। পুলিশ ক্রেডিবল কিছু না পেলে গ্রেপ্তার করবে না, এটা নিশ্চিত। আসলে যারা মামলা করতে আসে, এত প্রেশার থাকে, তা বলার মতো নয়।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালান। গাড়িবহরের ১২/১৪টি গাড়ি ভাঙচুর, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। 
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।
মামলা নিয়ে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে আগেই বলেছিলেন, ‘আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমি কখনোই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি। হামরার সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা আমি সমর্থন করি না।’

দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন নায়ক জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা–মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।