বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রঙ্গণের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা। এবার চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী অরুণা বিশ্বাস নায়ক সাইমন সাদিক এবং ফাইট ডিরেক্টর আরমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর আগে ৭ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগে অরুণা বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন তাকে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে এই নায়িকা উল্লেখ করেন, গত ২ মার্চ, রোববার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সমিতির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান তার শরীর সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। একজন সিনিয়র শিল্পী হিসাবে এতে তিনি অপমানিত ও অসম্মানিত বোধ করছেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
আরমানের মন্তব্য ইভটিজিং-এর সামিল উল্লেখ করে অরুণা সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিকের বিরুদ্ধেও তাকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ করেছেন।
এমন চলতে থাকলে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত হওয়াই অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং সিনিয়র শিল্পীরা সমিতিতে প্রবেশ করতে বিব্রত বোধ করবেন বিধায় বিষয়টি সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে গুরত্বসহকারে দেখার অনুরোধ করেন অরুণা বিশ্বাস।
তিনি অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে সাইমন সাদিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চিঠির বিষয়ে আমি সকালে জেনেছি। এরপরই আমি অরুণা দিদির কাছে ফোন করেছি। কথা বলেছি। আমি ওনাকে মজার ছলে বলেছিলাম, দিদি এত দিন পরে কেন শিল্পী সমিতিতে? কথাটি হয়তো উনি নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন। আমি ‘সরি’ বলেছি। আমি সব সময় সিনিয়রদের সম্মান করি। অরুণাদিও আমাকে বলেছেন, যেহেতু তুমি কল দিয়ে ক্ষমা চেয়েছ, তোমার প্রতি আমার রাগ কমেছে।”
অন্যদিকে আরমানও জানান, তিনি অরুণা বিশ্বাসকে ‘সরি’ বলবেন। আরমান বলেন, ‘ফাজলামি করে মোটা হওয়ার কথা বলেছি। বিষয়টি দুষ্টুমি করে বলা হয়েছিল। জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থাগিতের রেশ ধরে তিনি এ অভিযোগ করেছেন।’
উল্লেখ্য অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য।