ছোট দীঘি বড় হয়েছেন। সিনেমার নায়িকা হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন। তার নামের আগে শিশুশিল্পীর জায়গায় লেখা হয় চিত্রনায়িকা। দিনদিন তার অনুরাগীরা সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অনেকের মনেই দীঘিকে নিয়ে একটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায় দিঘী কোন ধর্মের অনুসারি? অর্থাৎ দীঘি হিন্দু না মুসলিম?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দীঘি নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘অনেকের মধ্যে আমাকে নিয়ে এই প্রশ্নটি উঁকি দেয়। আমার বাবা চিত্রনায়ক সুব্রত হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু মাকে বিয়ের পর তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। তারপর থেকে আমাদের পরিবার ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আমি, আমার ভাইও ইসলাম ধর্ম পালন করি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’’
শিশুশিল্পী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দীঘি। সেই খ্যাতিকে এখনো ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। কারণ, তাঁর অভিনীত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সহ দুটি সিনেমাই সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি। এ নিয়ে চিন্তিত নন দীঘি। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতাম না বড় হয়েছি। সিনেমায় নায়িকা হিসেবে চুক্তি করার পর দেখলাম আমার নামের পাশে চিত্রনায়িকা লেখা হচ্ছে। তখনই জানলাম ওহ, আচ্ছা আমি বড় হয়েছি। তারপর থেকে এখনো কাজ করে যাচ্ছি। সফলতা তো এক দিনে আসবে না। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রের অভিনয়ের সফলতা কিন্তু এক দিনে আসেনি।’’
বর্তমানে অভিনয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দীঘি। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মার্ডার নাইন্টিজ’। এটি নির্মাণ করেছেন আবু হায়াৎ মাহমুদ ভূঁইয়া। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় দীঘি। বিভিন্ন সময়ে টিকটক,ফেসবুকে ছবি-ভিডিও পোস্ট করে ভক্তদের মাতিয়ে রাখে।