• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন অপু’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
‘বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন অপু’
অপু বিশ্বাস-শবনম বুবলী। ছবি: কোলাজ

দুজনই সিনেমার মানুষ এখন। তবুও একজনের কথা আরেকজন সহ্যই করতে পারেন না। বলছি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর কথা। একে অপরকে নিয়ে হরহামেশাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেনই। এর মধ্যে কিছুদিন আগে বুবলীকে নিয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতও খোঁচা মেরে কথা বলেন। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা পরীমনিও। 

বুবলীর বিরুদ্ধে দুই নায়িকার কথা বলা লুফে নেন অপু বিশ্বাস। বিষয়টা অনেকটা এমন, মিষ্টি জান্নাত ও পরীমনি যতটা না বুবলীর বিরুদ্ধে কথা বলে খুশি হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি হয়েছেন অপু বিশ্বাস। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস মনে করেন, ‘ব্যক্তিত্বহীনতার কারণেই উনি (বুবলী) আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছোট বোনদেরও কথা শুনেছেন। এমন করলে শুনতেই হবে।’

অপুর এমন কথা পৌঁছে গেছে বুবলীর কান পর্যন্ত। তিনিও বিষয়টা আমলে নিয়েছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাই অপুর এই প্রসঙ্গ তুলেছেন বুবলী। অপু বিশ্বাসের এমন মন্তব্যের উত্তর বুবলী দিয়েছেন ঠিক এভাবে, ‘এই মহিলা (অপু বিশ্বাস) আবার ইন্ডাস্ট্রিতে তার ছোট বোনদের কথা বলে। ছোট বোন বানিয়েছেই তো নিজের স্বার্থের জন্য, আমার নামে সারাক্ষণ বাজে কথা বলে ওদের কান ভারী করাতে। 

নায়করাজ রাজ্জাক, মান্না স্যাররা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কারও বন্ধু হয় না। আর এই মহিলা এতগুলো নায়িকাকে বানায় ছোট বোন। এসব পাবলিক বোঝে। আর ওই ছোট বোনরাও সবাই স্মার্ট এবং প্রতিষ্ঠিত। তারাই আমাকে বলে দেয় এসব চালাকির কথা। কারণ তাদের কারও সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা তারাও জানে।’

কদিন আগেই অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন, শাকিব খানের শত্রুদের সঙ্গেই বুবলীর ওঠাবসা বেশি। বিষয়টি নিয়েও কথা বললেন বুবলী। জানালেন, ‘২০০৮ সালে শাকিব খান অসুস্থ হলে দৌড় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জায়গায় সিনেমা সাইন করেছিলেন তিনি...পরে স্বার্থের জন্য আবার শাকিব খানের সঙ্গে ভিড়েছিল। তার এসব ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানেন। জনা আপু, বিদ্যা সিনহা মিম, মারুফ ভাই, কাজী হায়াৎ আংকেল থেকে শুরু করে উনি অনেকের সঙ্গে এফডিসিতে কী বেয়াদবি করেছিলেন, এটাও নিউজ পেপার কাটিং আছে। 

এমনকি বেয়াদবির কারণে মার পর্যন্ত খেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে শাকিব খান এবং তাঁর পরিবার নিয়ে কী অপমানজনক কথা উনি বলেছিলেন, সব আছে ভিডিওতে। আরেক নায়কের সঙ্গে যখন আবারও প্রেমের গুঞ্জন চড়াও হলো, যখন ওই নায়কের সঙ্গে ওখানে কিছুদিন পর আর বনিবনা হলো না, তখন সে বলল এ রকম প্রেম প্রেম কথা উঠিয়েছে নাকি ইচ্ছা করে!’

বুবলী কথা প্রসঙ্গে এ–ও বলেন, ‘২০১৭ সালে এফডিসিতে যখন শাকিব খানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল, তখন শাকিবের বিরুদ্ধে ছিল অপু বিশ্বাস। এ রকম অনেকের সঙ্গে সেলফিতে হা হা হি হি করতে দেখা গেছে, যারা শাকিবের বিরোধিতা করেছেন।’ উঠে এসেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রসঙ্গও।

নিজের উদাহরণ টেনে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, ‘নিকেতনে এক ভাবির দাওয়াতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য খাবারও নিয়ে এসেছিলেন। যখন শুনলাম ইকবাল ভাই আসবেন, আমি চলে এসেছি। আমার পরিবারের কাউকে অসম্মান করবে, আমি তাঁর মুখোমুখিও হব না।’

অপুর এমন দাবির প্রসঙ্গে বুবলীও কথা বলেছেন। গণমাধ্যমে বুবলী দাবি করেছেন, ‘ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি (অপু বিশ্বাস) দেখেন না। কিন্তু কেন? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাঁকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে, তাঁরা তাঁর কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম ওপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কী বোঝান? হাস্যকর।’

গত বছরের মে মাসে গণমাধ্যমে বুবলীও বলেছিলেন, শাকিব খানের নাম তিনি আর মুখে আনতে চান না। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘উনি (শাকিব খান) নিজেকে সুপারস্টার হিসেবে দাবি করেন, আমি এই নামটি উচ্চারণ করতে চাই না, কোনো ইচ্ছাই নেই। কারণ, উনি বারবার বলেছেন আমি তাকে শেল্টার হিসেবে দেখছি। 

একজন সন্তানের মা, স্ত্রী তো স্বামীকেই শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করবেন। এটা কি আমার ভুল হয়েছে? এ কারণে আমি তার নাম আর মুখে আনতে চাই না। আমি উনাকে নিয়ে কথাও বলতে চাই না।’ বুবলী তখন আরও বলেছিলেন, ‘তিনি সম্পর্ক রাখতে চান বা না চান এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা বসে কথা বলতে পারি। বাইরের মানুষকে জানানোটা সমাধান না। আমি আমার জায়গা থেকে সংসার করতে চেয়েছি, সেটাই যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। তাঁকে সম্মান দিয়েই থাকতে চাই।’ 

Link copied!