• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৯ শা'বান ১৪৪৬

মায়ের কবরে সমাহিত অঞ্জন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
মায়ের কবরে সমাহিত অঞ্জন
জাহিদুর রহিম অঞ্জন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল ভারত থেকে অঞ্জনের মরদেহ দেশে আসে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) 
বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরেই তাকে  দাফন করা হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখানকার একটি হাসপাতালে মারা যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালক। 
তার আগে সকালে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মরদেহ নেওয়ার কথা তাঁর কর্মস্থল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ আরো কয়েক জায়গায় তাঁর মরদেহ নেওয়ার কথা।

জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মায়ের কবরে সমাহিত হবেন চলচ্চিত্র অ্যাক্টিভিস্ট, নির্মাতা ও শিক্ষক জাহিদুর রহিম অঞ্জন, এমনটাই জানিয়েছেন তার ছোট ভাই সাজ্জাদুর পান্থ।

জানা গেছে, বহুদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বিগত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই গুণী নির্মাতা।

জাহিদুর রহিম অঞ্জনের প্রথম ছবি ‘মেঘমল্লার’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায় ছবিটি।
কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ ছিল তার প্রথম ফিচার ফিল্ম। ছবিটি ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয় তাঁকে। সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। ইতিমধ্যে ছবির পোস্টারও প্রকাশ হয়েছে। গত বছর ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সার্বিক অবস্থা এবং নিজের অসুস্থতার কারণে মুক্তি দিতে পারেননি। খুব শিগগির সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে আগ্রহী ছিলেন।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

Link copied!