সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড। এর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা করেন জনি এবং সেই মামলায় জয় পান তিনি। এবার সেই মানহানির মামলা থেকে রেহাই পেতে সাবেক স্বামী জনির সঙ্গে নিষ্পত্তিতে আসতে চান অ্যাম্বার।
এর আগে, ভার্জিনিয়া আদালতের বিচারক এই মানহানি মামলায় অ্যাম্বার হার্ডকে দোষী সাব্যস্ত করে জনির পক্ষে রায় দেয় এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে জনিকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেন আম্বারকে। এতে মামলায় পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হবে এই হলিউড তারকাকে।
যেটা এই মুহূর্তে তার জন্য খুব কঠিন হওয়ায় পুনরায় মামলাটি রায়ের জন্য আপিল করেছিলেন অ্যাম্বার। সেই সঙ্গে গত নভেম্বরের শেষের দিকে এ প্রসঙ্গে ৬৮ পৃষ্ঠার একটি নথিও জমা দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে এই আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই অ্যাম্বার। তাই সাবেক স্বামীর মামলাটি থেকে রেহাই পেতে নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মামলার নিষ্পত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন অ্যাম্বার। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অনেক চিন্তাভাবনার পরে আমি সাবেক স্বামী বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এ মামলাটি থেকে এখন রেহাই চাই। তবে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হয়েছি আমি। বর্তমানে সেটি আধুনিক যুগে নারীদের প্রতি নির্মমতার এক নতুন সংস্করণ।”
আমেরিকার বিচারব্যবস্থার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক সম্মানের সঙ্গে মামলা লড়ে এবং সেখানকার বিচারপদ্ধতিও সত্যের পক্ষেই রায় দেয়। যুক্তরাজ্যে আমার প্রতি পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিল আদালত। কিন্তু আমেরিকায় আমার প্রতি সেই অন্যায়ের ন্যায্যতা পাইনি আমি।”
২০১৭ সালে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি হলিউডের তারকা দম্পতি টানেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড।