ত্রাণ কার্যক্রমে গিয়ে ফটোশেসন বা ছবি তোলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। তিনি জানালেন, ত্রাণ দেওয়ার সময় ছবি তোলায় বেশিরভাগ মানুষই বিব্রতবোধ করেন। এমনকি অনেকে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ত্রাণ না নিয়েই চলে যান। তাই এমনটা যেন কেউ না করেন সেই অনুরোধ জানান অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, এই কাজ থেকে আপাতত বিরত থাকুন। দয়া করে যারা ত্রাণ দিচ্ছেন অন্তত ত্রাণ দেয়ার সময় ভিডিও/ছবি তুলবেন না। ত্রাণ নিতে আসা অনেকেই বহু টাকার মালিক ছিল কিন্তু আজকে পরিস্থিতির শিকার। পারলে ওনাদেরকে আপন ভাইবোনের মত আপ্যায়ন কইরেন!’
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে সেই পরিস্থিতি তোলে ধরে এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘‘আজকে ফেনীতে ত্রাণ নিতে এসে একজন আঙ্কেল রাগ করে ত্রাণ না নিয়েই চলে গেছেন। ওনার রাগ করার কারণ ছিল ত্রাণ দেয়ার সময় ভিডিও/ছবি তোলা। ওনি একপর্যায়ে বললেন, ‘বাবা, টাকা-পয়সা আমাদেরও বহু ছিল। একটা বড় খামারের মালিকও ছিলাম। বন্যায় সব শেষ। বছরে হাজার হাজার টাকার যাকাত দিছি। কিন্তু আজকে বন্যার কারণে নিঃস্ব। পরিবার আর বাচ্চাদের দিকে তাকাইয়া ত্রাণ নিতে আসছি। সবাই যে ভিডিও করে অনলাইনে দিচ্ছে—এইগুলা তো সারাজীবন থাইকা যায়। পরে দেখলে নিজেরে অসহায় মনে হয়। আমাদেরও তো চক্ষুলজ্জা আছে।’’
ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি টিম নিয়ে বন্যার্তদের সহায়তা দিয়েছেন জোভান। ত্রাণ বিতরণ করেছেন ফেনী ও নোয়াখালী জেলায়। বন্যার্ত ৪০০ পরিবারের জন্য খাবার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তবে এই উদ্যোগ ব্যক্তিগত হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের কৃতিত্ব দেন তিনি।
উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢল ও ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ ১১টি জেলা। দিশেহারা অবস্থায় দিন পার করছেন বন্যার্তরা।