নায়ক কিংবা নায়িকা বিয়ে করলেই ক্যারিয়ার থমকে যায়—এমন একটি কথা প্রচলিত রয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। বিশেষ করে নায়িকাদের বিয়ে মানেই ক্যারিয়ার শেষ ধরে নেওয়া হতো। সংসার, স্বামী, ছেলেপুলে নিয়ে তাঁরা ঘোর সংসারী হয়ে উঠতেন। আবার ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু করলেও সাধারণত তাঁদের কপালে মা বা ভাবির চরিত্রই বেশি জুটত। বহুল প্রচলিত এই কথা সঠিক নয়, তা প্রমান করেছেন বলিউডের বেশ কজন তারকা অভিনেতা। এ তালিকায় রয়েছেন—বলিউড কিং শাহরুখ খান থেকে মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানও। যারা ক্যারিয়ারের শুরুতে বিয়ের পাঠ চুকিয়ে ফেলেছিলেন।
নায়িকারাও পিছিয়ে নেই, বিয়ের পরের কাজেই বেশি সফলতা পেয়েছেন বলে ধারণা বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির।
গেলো বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে বিয়ে করেছেন কিয়ারা। বিয়ের পর ক্যারিয়ার নিয়ে আরও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিবাহিত নায়িকার ক্যারিয়ার এগোয় না, এর বিরোধিতা করেছেন কিয়ারা। কিয়ারার কথায় এই ধরনের ট্যাবু ভেঙ্গে গেছে। নিজের বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যখন বিয়ে করি তখন ব্যাপারটা এমন ছিলো সকলেই প্রশ্ন তুলেছিলো, ও বিয়ে করে ফেলছে কেন? মাত্র ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময়ে পা রাখলো। কিন্তু আমি সেই সময়টা পার করেছি আমার কাজের প্রতি দর্শকের অগণিত প্রশংসা পেয়ে। এখন দর্শকের মানসিকতার উন্নতি হয়েছে। তাদেরকে কুর্ণিশ জানাই।’
কিয়ারা বলেন, ‘বিয়ের পর আমার কাজ কমা তো দূর, বরং বেড়েছে। আমি মনে করি, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় দুটি ছবিতে আমি বিয়ের পরই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এতেই বোঝা যায় যে, একটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন আমি খুব ভালোভাবে ব্যালেন্স করতে পারি। সুতরাং আমি বিবাহিত কিনা, আমি একজন মা কিনা, আমি কারো মেয়ে, যাই হোক না কেন, চরিত্রের কাছে সব কিছুই অমূলক। ফলে যদি কোনও কাজ করতে চাই, সেটা করে ফেলি নির্ভাবনায়। তাছাড়া, বলিউডের এখন সব শীর্ষ নায়িকারাই বিবাহিত।’
২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ সিনেমা দিয়ে অভিষেক হয় কিয়ারা আদভানির। তবে তার উত্থান হয়েছে ২০১৯ সালের ‘কবির সিং’র সুবাদে। একই বছর সুপারহিট ‘গুড নিউজ’-এও দেখা যায় তাকে। এরপর কিয়ারা হাজির হয়েছেন ‘শেরশাহ’, ‘যুগ যুগ জিও’র মতো সফল ছবিতে।
সম্প্রতি তিনি যোগ দিয়েছেন বহুল আলোচিত ‘ডন ৩’ সিনেমায়। এছাড়া কাজ করছেন হৃতিক রোশনের সঙ্গে বিগ বাজেটের ‘ওয়ার ২’ ছবিতে।