বরগুনায় মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলো জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি। আজ বাদ আসর গ্রামের বাড়ি বরগুনা আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তার প্রথম জানাজা হয়েছিল ঢাকার শাহজাহানপুরে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থতার পরে সোমবার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
প্রথম জানাজা শেষে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনেরা। দুপুরের পর তারা সেখানে পৌঁছান বলে জানা যায়। বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ হাজারও মানুষ তার জানাজায় অংশ নেন। বরগুনার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির।
তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজো। ভাইদের মধ্যে বড়। রুমির দুই সন্তান।
মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেন।
রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর।
টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো―সাজেশন সেলিম, বোকাসোকা তিনজন, মেকআপ ম্যান, ঢাকা টু বরিশাল, ঢাকা মেট্রো লাভ, বাপ বেটা দৌড়ের উপর, আমেরিকান সাহেব, জার্নি বাই বাস, বাকির নাম ফাঁকি, রতনে রতন চিনে, আকাশ চুরি, চৈতা পাগল, জীবনের অলিগলি, মেঘে ঢাকা শহর ইত্যাদি।