• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যগুলো থেকে ভিন্ন অভিজিতের ‘পূজামণ্ডপ’


তপন বকসি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২, ০৭:৫০ পিএম
অন্যগুলো থেকে ভিন্ন অভিজিতের ‘পূজামণ্ডপ’

উত্তর মুম্বাই শহরতলিতে আন্ধেরি পশ্চিমে লোখন্ডওয়ালায় গায়ক অভিজিতের পূজা গত ২৬ বছর ধরে উদযাপন হচ্ছে। যা এ বছর ২৭ -এ পা রেখেছে। অভিজিতের এই পূজার নাম ‘লোখন্ডওয়ালা দুর্গোৎসব’। 
২০২০ সালে এই পূজার রজতজয়ন্তী (২৫ বছর) পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু সেই  সময়ে করোনার দাপট থাকায় অল্প জায়গায় ও ছোট করে অডিটোরিয়ামের ভেতর অনাড়ম্বরভাবে পূজা উদযাপন করতে হয়েছিল। তাই এ বছর আবার নতুন করে উদ্যমে ফিরে এলো ‘লোখন্ডওয়ালা দুর্গোৎসব’ বা ‘অভিজিতের পূজা’।

ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমীর প্রত্যেকদিন দেড় লাখেরও বেশি দর্শনার্থী বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে আসেন এখানে। অভিজিতের পূজায় প্রতিমা বিসর্জন দশমীর দিন হয় না, হয় একাদশীতে। শুধু ঠাকুর দেখতে আসা নয়, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী এই চার দিন সারি দিয়ে ভোগগ্রহণ করেন দেড় লাখ মানুষ।

সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে খিচুড়ি, লাবরা, বেগুনি ও মিষ্টি এবং দশমীর দিন দুপুরের ভোগে দর্শনার্থীদের জন্য থাকে পোলাও, লাবরা, বেগুনি ও মিষ্টি।

অভিজিতের পূজায় ঢাক ও ঢাকিদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। এবারের পূজায় অন্যবারের মতোই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা থেকে এসেছেন ২১ জন ঢাকির একটি দল। দুপুর ও সন্ধ্যা আরতির সময় ঢাকির দলের সবার হাতে ওঠে মাঙ্গলিক বোল। যে বাজনার সঙ্গে শারদ উৎসবের আত্মিক যোগ।

অভিজিতের পূজায় এবারের প্রতিমা উজ্জ্বল সোনা রঙের। মূল মণ্ডপের দুই পাশের কাপড়ের ওপর পোড়া মাটির ধুনুচি সুসজ্জিত ঢাকের ছবি।

অভিজিতের পূজায় এবারও চার দিনের সঙ্গীতানুষ্ঠান, খাওয়ার জন্য ২০টি স্টল, বাংলার ঝালমুড়ি, মাটির ভাঁড়ের চা আর ফুচকার দোকান রাখা হয়েছে। অভিজিতের কথায়, ‘বাঙালিয়ানার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনের মজাই আলাদা।’

Link copied!