• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩০, ৬ রজব ১৪৪৬

চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল: সোহেল রানা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল: সোহেল রানা
চিত্রনায়ত সোহেল রানার সঙ্গে অঞ্জনা। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ পনেরদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যৃু নিয়ে শোক জানিয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা সোহেল রানা। শনিবার চার জানুয়ারি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই নায়ক লিখেন, ‘‘না ফেরার দেশে চলে গেল অঞ্জনা। চলচ্চিত্র জগতের একটা আলো নিভে গেল। আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসিব করুন।’

ছোটবেলা থেকে  নানা মঞ্চে নাচ করার আমন্ত্রণ পেতেন অঞ্জনা রহমান। ৯ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে নৃত্য পরিবেশন করতে গিয়ে সোহেল রানার দৃষ্টি কাড়েন তিনি। সেদিন খুদে নৃত্যশিল্পী অঞ্জনাকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন নায়ক সোহেল রানা। ১৪ বছর বয়সে আবার এক অনুষ্ঠানে দেখা হয় সোহেল রানা ও অঞ্জনার। তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন সোহেল রানা। এই সোহেল রানাই তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। অঞ্জনাও তাকে মনে রেখেছেন।

সোহেল রানা প্রযোজিত ‘দস্যু বনহুর’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অঞ্জনার চলচ্চিত্রে অভিষেক। শামসুদ্দীন টগর পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে অঞ্জনা অভিনয় করেছিলেন সোহেল রানার বিপরীতে। ১৯৭৬ সালে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি সেই বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায়।

অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।

১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বানিজ্যিক সফল সিনেমায়।

জীবদ্দশায় এক সাক্ষাতকারে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক, বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

Link copied!