দাবানলের আগুনে পুড়ে গেল একঝাঁক মার্কিন তারকার বাড়িঘর। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে পুড়ে গেছে তাদের প্রিয় বাড়ি।
এ তালিকায় আছে প্যারিস হিলটন, বিলি ক্রিস্টাল, ম্যান্ডি মুর, জেমি লি প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এপিনিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) অভিনেতা বিলি ক্রিস্টাল ও তার স্ত্রী জেনিস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, “১৯৭৯ সাল থেকে বাড়িটিতে বসবাস করে আসছি আমি ও জেনিস। এ বাড়িতে বেড়ে উঠেছে আমাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি ভালোবাসায় ভরপুর। চমৎকার সব স্মৃতি কেড়ে নেওয়া যায় না। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। তারপরও আমাদের সন্তান ও বন্ধু-বান্ধবদের ভালোবাসায় এই সংকট কাটিয়ে উঠব।”
এদিকে পুড়ে গেছে অভিনেত্রী-গায়িকা ম্যান্ডি মুরের বাড়িও। এ ঘটনায় বোধশূন্য হয়ে পড়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই শিল্পী লেখেন, “সত্যি বলতে, আমি হতবাক এবং অনুভূতিশূন্য। আমার পরিবারসহ অনেককে হারিয়েছি। আমার বাচ্চাদের স্কুলও চলে গেছে। আমাদের প্রিয় রেস্তোরাঁগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনরা তাদের সবকিছু হারিয়েছেন।”
আগুনে সব হারিয়ে দুঃখ পেলেও মনোবল ভেঙে যায়নি ম্যান্ডির। তার ভাষায়, “আমাদের কমিউনিটি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমরা পুনরায় একসঙ্গে এটি গড়ে তুলব। ক্ষতিগ্রস্ত এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যারা সম্মুখ সারিতে কাজ করছেন, তাদের সকলের প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছি।”
ভয়ংকর দাবানল। অভিনেতা ক্যারি এলউইসের বাড়িও কেড়ে নিয়েছে ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’খ্যাত এ অভিনেতা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, “দুঃখের বিষয় হলো, আমরা আমাদের বাড়িটি হারিয়েছি। কিন্তু এই ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।”
মালিবুতে অবস্থিত অভিনেত্রী-গায়িকা প্যারিস হিলটনের বাড়িটিও পুড়ে গেছে। তার ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ভিডিও ক্লিপ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি লিখেন, “এই বাড়িটিতে অনেক মূল্যবান স্মৃতি তৈরি হয়েছে। এটিই সেই জায়গা যেখানে ফিনিক্স প্রথম হাঁটতে শিখেছিল।”
তা ছাড়াও অভিনেতা অ্যাডাম ব্রডি, মার্ক হ্যামিল, জেমস উডসসহ একাধিক তারকার বাড়িঘর দাবানলে পুড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অদূরে শুরু হয় দাবানল, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দাবানলে পুড়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এ পরিস্থিতিতে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।
যেসব বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে পারেননি, তাদের অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। দাবানল ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা।