• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম
আইয়ুব বাচ্চুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব বাচ্চুর ‘ঘুমন্ত শহরে’ ছেড়ে যাওয়ার পাঁচ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৮ সালের ১৮ই অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট, সুরের জাদুকর, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী, এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি। তার বাবার নাম ইশহাক চৌধুরী, মা নুরজাহান বেগম। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন রক ব্যান্ডের গান শুনতেন। সেখান থেকেই ব্যান্ডের ও গিটার বাজানোর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার বাবা তাকে ১১তম জন্মদিনে একটি গিটার উপহার দেন। সেই থেকেই গিটার বাজানোর প্রতি তার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।

আইয়ুব বাচ্চুকে গিটার শেখাতেন জেকব ডায়াজ নামের একজন বার্মিজ গিটার বাদক, যিনি তখন চট্টগ্রামে থাকতেন। ১৯৭৮ সালে আইয়ুব বাচ্চু ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে পথচলা শুরু করেন। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ব্যান্ডদল ‍‍`এলআরবি‍‍`র। আইয়ুব বাচ্চু মৃত্যুর আগে সুদীর্ঘ ২৫ বছর কাটিয়েছেন নিজ হাতে গড়া এলআরবির সঙ্গে।

ব্যান্ডের হয়ে আইয়ুব বাচ্চু উপহার দিয়েছেন—এলআরবি (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারি মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), আমাদের বিস্ময় (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০০), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নেই (২০০৫), স্পর্শ (২০০৮) এবং যুদ্ধ (২০১২) অ্যালবামগুলো।

এ ছাড়া একক শিল্পী হিসেবে আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে—রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কী! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)। এর বাইরে তাঁর গাওয়া গানের অসংখ্য মিক্সড অ্যালবাম রয়েছে।

আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে কালজয়ী কিছু গান হলো—‘সেই তুমি’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘মেয়ে’, ‘কেউ সুখী নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘রুপালি গিটার’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘একচালা টিনের ঘর’, ‘তারাভরা রাতে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘বেলা শেষে ফিরে এসে’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘আম্মাজান’, ‘ফেরারি মন’ ইত্যাদি।

অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর না-ফেরার দেশে চলে যান ব্যান্ডসংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র আইয়ুব বাচ্চু। আজ ১৮ অক্টোবর কিংবদন্তি এই ব্যান্ড তারকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। সংসারজীবনে তিনি স্ত্রী, ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব নামে এক কন্যা ও আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব নামে এক পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।

Link copied!