সিনেমার গল্পের প্রয়োজনে বাস্তবেই সেক্স করতে হয়েছে অনেক তারকাকে। তারা শুটিংয়ে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছেন ক্যামেরার সামনেই। আজ এমন কিছু সিনেমা নিয়েই এ প্রতিবেদন যেসব সিনেমায় ক্যামেরার সামনে যৌন দৃশ্যে নায়ক নায়িকারা সত্যি সত্যিই মিলিত হয়েছিলেন।
ক্যালিগুলা
ক্যালিগুলা ১৯৭০ দশকের সিনেমা। অন্যান্য সমস্ত ছবির ক্ষেত্রে পথিকৃতও বলা চলে। নির্মাতারা ছবি মুক্তির আগে জানিয়ে দেন, ছবিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সত্যিকারের সেক্সুয়াল অ্যাক্ট পারফর্ম করেছেন। ফুল ফ্রন্টাল ন্যুডিটি থেকে, ওরাল সেক্স, সঙ্গম দৃশ্যে কোন বডি ডাবল ব্যবহার করা হয়নি। যদিও সাধারণ দর্শক এবং ফিল্ম ক্রিটিকরা ছবিটি খুব ভালো ভাবেগ্রহণ করেননি।
অল অ্যাবাউট আনা
অল অ্যাবাউট আনা সিনেমাটি পরিচালক লার্স ভন ত্রিয়ের। এই সিনেমাটিও সেক্সুয়াল সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেন। মাস্টারবেশন এবং সঙ্গম দৃশ্যগুলিতে অভিনয়ের সময় ছবির চরিত্ররা সত্যিকারের সেক্স করেন। ছবিটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট সমালোচিত হয়। তাতে প্রযোজক জানান, ছবিটি এমন একটি বিষয়ের ওপর তৈরি যাতে সেক্সুয়াল অ্যাক্ট না দেখালে ছবির বিষয়বস্তু আঘাত পেত।
দ্য ব্রাউন বানি
দ্য ব্রাউন বানি সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভিঙ্গি। মূলত তার বিভিন্ন দৃশ্য, বিশেষত ওরাল সেক্সের দৃশ্যগুলি সবই সত্যি পারফর্ম করেছেন তিনি। মুক্তির পর রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল এটি।
নিম্ফোম্যানিয়াক
যারা আন্তর্জাতিক সিনেমা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানবেন, সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ছবিটি। এর পরিচালক ছিলেন লার্স ভন ত্রিয়ের। ছবিতে সেক্স দৃশ্যের জন্য অভিনেতারা সত্যিই পারফর্ম করেন। কিছু দৃশ্যে পর্নো তারকাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
লাই উইথ মি
লরেন লি স্মিথ এবং এরিক ব্যালফোরের সঙ্গম দৃশ্য ছবিতে অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল। আর হবে নাই বা কেন, ছবিতে সত্যিই পারফর্ম করেছেন দুজন। সিনেমার তারকাজুটি একাধিকবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন এর গল্পের খাতিরে।
সুইট সুইটব্যাকস ব্যাডঅ্যাস সঙ
১৯৭১ সালের ছবির প্রধান অভিনেতা মেলভিন ফান পেবলস প্রথমে সেক্স দৃশ্যের কথা অস্বীকার করলেও বহু বছর বাদে প্রকাশ পায়, ছবির দৃশ্য সব সত্যিই শ্যুটিং করা হয়েছিল। শ্যুটিং পরবর্তীকালে মেলভিন যৌন রোগে আক্রান্ত হন। কনট্র্যাক্ট অনুযায়ী তাকে কমপেনসেশনও দেওয়া হয়েছিল।
গান্ডু
কলকাতার প্লটে নির্মিত এক ক্রুদ্ধ কমবয়সী র্যাপার গান্ডুর স্বপ্ন সফল করার কাহিনি ‘গান্ডু’। সঙ্গে তার দোসর রিক্সার রোজনামচা। সিনেমাটিতে ন্যুডিটি, গালিগালাজ, ড্রাগের নেশা ইত্যাদির কারণে কখনো মুক্তি পায়নি ভারতে। তবে কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের এই ছবি ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে ‘সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রিমিয়ার হয়েছিল। দর্শকমহলেও ব্যাপক আলোচিত এটি।
বেইস মোয়া
বেইস মোয়া ফরাসি ছবি। যাঁর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘আমার সঙ্গে সঙ্গম করো’। টাইটেল দেখেই আন্দাজ করা যেতে পারে ছবিতে সেক্সুয়াল দৃশ্য থাকবে। ছবির সঙ্গম দৃশ্য শুধুমাত্র গ্রাফিকই নয়, রীতিমতো পর্নোগ্রাফির সঙ্গে এ ছবির তুলনা করেছেন ফিল্ম ক্রিটিকরা।
নাইন সংস
এটি একটি ব্রিটিশ আর্ট রোম্যান্টিক ড্রামা ছবি। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। ছবির পরিচালনা করেন মাইকেল উইন্টারবটম। সিনেমাতে মোট ৮টা ভিন্ন ব্যান্ডকে গান গাইতে দেওয়া হয়েছিল। তা থেকেই ছবির নামকরণ করা হয়। এই সিনেমায় সত্যিকারের সেক্স শুটিং হয়েছে।
লাভ
লাভ সিনেমাটিও ফরাসি । পরিচালনা করেছিলেন গ্যাসপার নুই। ২০১৫ সালে কান ফিল্ম ফেসটিভ্যালেও দেখানো হয় ছবিটিকে। প্রধানত ভালবাসা ঠিক কি তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমাতে। সিনেমাটিতে একাধিকবার শুটিংয়ে সত্যিকারের সেক্স করানো হয়েছে অভিনয়শিল্পীদের মাঝে। এটি বেশ সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র যা সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
সূত্র : আইএমডিবি